নারায়নগঞ্জে বিপুল পরিমাণ মাদক সহ আটক ৮
- আপডেট সময়- ১২:১২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মে ২০২৩ ১১৬ বার পড়া হয়েছে
র্যাব-১১,সিপিসি-১ এর অভিযানে ৩৫ হাজার পিস ইয়াবা সহ তৃতীয় লিঙ্গের ৮ মাদক কারবারি আটক!
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ৩৫ হাজার পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট এবং নেতাসহ ৮ তৃতীয় লিঙ্গের সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-১১ এর একটি অভিযানিক দল।
রবিবার (২১ মে) রাত ৯টায় বন্দর থানাধীন মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন নামক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।
এরপর সোমবার (২২ মে) দুপুরে র্যাব-১১ এর সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার, উপ-পরিচালক, স্কোয়াড্রন লীডার একেএম মনিরুল আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য নির্মূলে ও মাদকের ভয়াল থাবা থেকে কিশোর যুবক সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে র্যাব-১১ সর্বদা বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যেই র্যাব-১১, মাদক নির্মূলের লক্ষ্যে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিপুল পরিমান মাদক উদ্ধার সহ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় মাদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে র্যাব-১১, সিপিসি-১ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল
২১মে (রবিবার) ২০২৩ ইং তারিখ রাত ৯.০৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার মদনপুর রাফি ফিলিং স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তৃতীয় লিঙ্গের মাদক চোরাচালান চক্রের দলনেতা সহ ৮ সক্রিয় সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৩৫ হাজার পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা হলেন,
১। রফিক ওরফে ললিতা (৪০), পিতা-মৃত ফোজাম্মত, মাতা-আজম বাহার, সাং-নাইটাম পাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, ২। রবি আলম ওরফে বিউটি (৪০), পিতা-মৃত আব্দুল হাকিম, মাতা-পাতেলা বেগম, সাং-লিংরোড, মহুরীপাড়া, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার, ৩। একরাম ওরফে পরীমনি (২২), পিতা-মৃত আবুল হোসেন, মাতা-তৈয়বা বেগম, সাং- লেদা লামারপাড়া, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার ৪। রবি আলম (২) প্রিয়া (২৪), পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, মাতা- রমিদা বেগম, সাং- বাজারঘাটা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার, ৫। মোঃ আল-আমিন (২) নিশি (৩৫), পিতা- মৃত আব্দুল আজিজ, মাতা-মৃত সুফিয়া বেগম, সাং-ফতেহপুর, থানা- সোনারগাঁ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এ/পি সাং-মরিচা, হলিদাপালং, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, ৬। রায়হান (2) আঁখি (২০), পিতা-নুরুল আলম, মাতা-আরজুমান বেগম, সাং-মহেষখালী পাড়া, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার, ৭। সাবের ওরফে বিজলী (২২), পিতা-মৃত আব্দুস সালাম, মাতা-নুর বেগম, সাং-লেদা লামারপাড়া, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার, এ/পি- জালিয়া পাড়া, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার এবং ৮। ফারুক ওরফে রিয়ামনি (২৫), পিতা-মৃত জহির আহমেদ, মাতা-মাহাতা খাতুন, সাং-বাজারঘাটা, থানা- কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার।
র্যাব উপ-পরিচালক আরো জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা অপরাধের কথা স্বীকার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য তারা। এই চক্রের দল নেতাসহ সকলেই তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য।
আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অত্যন্ত সুকৌশলীভাবে তৃতীয় লিঙ্গের আড়ালে বিভিন্ন স্থানে ভ্রমনের বাহানায় নিষিদ্ধ মাদক দ্রব্য ইয়াবা টেবলেট ক্রয় বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। এই সক্রিয় মাদকদ্রব্য কারবারি চক্রটি পারস্পারিক যোগসাজসে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্যের বড় বড় আকারের চালান দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে এসে। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা সহ পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহে এসকল মাদকদ্রব্য সরবারহ করে থাকে।
ধারনা করা হচ্ছে, জব্দকৃত ৩৫হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৫ লাখ টাকা।
গ্রেফতারকৃত মাদক চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্তদের বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এসকল তথ্যের ভিত্তিতে জড়িত অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে আইনের আওতায় আনতে র্যাব-১১ এর গোয়েন্দা নজরদারী সহ আভিযানিক কার্যক্রম অব্যহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত তৃতীয় লিঙ্গের আসামীদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।