ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১ বাউফলে মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে বাবার মৃত্যু,পরীক্ষার হলে মেয়ে ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের ফলে বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক পানাম নগরীর স্থাপত্য শৈলী ও নান্দনিক কারুকার্য দেখে মুগ্ধ কোরিয়ান প্রতিনিধি দল ভৈরবে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক,কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা শ্যামনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র কমিটি নিয়ে বিতর্ক: একযোগে ৪৮ সদস্যের পদত্যাগ রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ইসি আনোয়ারুল ইসলাম  ফেসবুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নৌকায় ধর্ষণ, ধৃত যুবক কাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু, অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী টংঙ্গীবাড়ীতে সড়ক জনপদসহ গ্রামীণ সরকারী সড়কের জমি দখল পটুয়াখালীতে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী রায়পুরায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কুলাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার-৪ শ্রীনগরে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই চোরাই ভাবে পিকআপ ভর্তি করে বিক্রি ভেড়ামারায় গাজর চাষে বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা গাঁজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ঈশ্বরদী,ইসরায়েলী সকল পণ্য বর্জনের ঢাক কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মারধর করে ২ লাখ টাকা লুট নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের পুকুর হতে অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার  বাংলাদেশে কয়েকটি আউটলেটে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যে বিবৃতি দিলো বাটা ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ফুটেজ দেখে দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ মুন্সীগঞ্জে শীঘ্রই মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাইবান্ধার রাজপথে ফিলিস্তিনের পক্ষে জ্বলে উঠল গণজাগরণ  সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ও ঘি’সহ  আটক-২ ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল না ফেরার দেশে, আলী আহাম্মদ চুনকার ছেলে আহাম্মদ আলী রেজা রিপন আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস শেষ রক্ষা হলো না, আ’লীগপন্থি ৭১ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ৯ দিন বন্ধের পর আজ শুরু ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ভোটকেন্দ্রে জামায়াত নেতার ছেলেকে গুলি, ৬ বছর পর মামলা বাউফলে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার আ’লীগ পন্থী  ৯৩ আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৯ মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নানোৎসব পালিত গাইবান্ধায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর অষ্টমী স্নানোৎসব, ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় ভেসেছে ভক্তির ঢেউ ভৈরবে পল্লী জাগরণী সংঘের সভাপতি হামিদ ও সাধারন সম্পাদক আমিনুল নির্বাচিত ঈদের ছুটিতে গাইবান্ধায় তিন দিনে ৪ শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন ঈশ্বরদীতে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজির রুপপুর প্রকল্প পরিদর্শন প্রকৃতি কন্যা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়  লৌহজংয়ের পদ্মা সেতু এলাকায় পলিথিন-স্কচটেপে প্যাঁচানো খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীতে দেশি অস্ত্রসহ আটক-১৫ শহরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে চাষাড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন মুন্সীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-৮ সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড: ১৪টি দোকান ভস্মীভূত হবিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধ শতাধিক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত-৭ হিংসা-বিদ্বেষ ভূলে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে না’গঞ্জের উন্নয়নে কাজ করতে চাই: জেলা প্রশাসক  চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদুল ফিতর বাউফলে কলেজ ছাত্রী হেনস্তার শিকার  সাতক্ষীরায় দরদীর উদ্যোগে ইফতার পুনর্মিলনী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত এক টাকায় ঈদের হাসি: ‘আমাদের গাইবান্ধার’ অসামান্য উদ্যোগ ঈশ্বরদীতে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরন শ্রীনগরে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে নিহত-১, আহত-২ মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে এক দিনে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকার টোল আদায় ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায়  নানা-নাতনী নিহত জাগরণ সংস্থা’র উদ্দ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন জেলা প্রশাসকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত ৫ শতাধিক শিশু পেল ঈদের নতুন পোশাক কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলের মৃ*ত্যু  ৬৬৮১ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ কমিটির মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে ১২ঘন্টায় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা টোল আদায় গাইবান্ধার মরিচের হাট: লাল সোনার বাণিজ্যে জমজমাট  কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ হতদরিদ্রের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন মানবিক জেলা প্রশাসক বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা কাল থেকে টানা ৯ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকরিজীবীরা আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ মেট্রোর আদলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যুক্ত হলো দেশে তৈরি কমিউটার ট্রেন নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বীর শহীদদের স্মরণে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত  মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়া সৈনিক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মুন্সীগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পথশিশু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার যথাযথ মর্যাদায় ঈশ্বরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন  মৌলভীবাজারে রণাঙ্গন’র অভিষেকসহ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  চল্লিশ বছরেও অসম্পূর্ণ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল: ৭ দফা দিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস ঈশ্বরদীতে যুবদলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে গণপিটুনি রূপগঞ্জে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঈদের ছুটিতে পাহাড়ি পথ চা-বাগানের স্নিগ্ধতায় বেড়াতে ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দায়িত্বে শপথ নিলেন নতুন দুই বিচারপতি কক্সবাজারে আরাকান আর্মির শতাধিক পোশাকসহ আটক-৩ বড়লেখায় বিষপানে তরুণীর আত্মহত্যা  শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন সেনাপ্রধান জেলা পরিষদ’র উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান ঈশ্বরদীর রূপপুরে আলোচিত মানিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ কুলাউড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে গ্রেপ্তার-৫ টংঙ্গীবাড়ীতে ৩ কসমেটিক্সের দোকানকে ভোক্তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে ১৭৩ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ কুলাউড়ায় শুরু হচ্ছে অভিযান, অবৈধ কাজে সুপারিশ না করার আহ্বান  না’গঞ্জ জেলা সাউন্ড মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে চুরি হওয়া পিকআপসহ চোর আটক জেলা প্রশাসক ও প্রাণীসম্পদের সহায়তা সূলভ মূল্যে পন্য পাবে স্বল্প আয়ের ভোক্তা  পুণ্যময় রজনী শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত বাউফলে সাংবাদিক ক্লাবের ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির আত্মপ্রকাশ সোনারগাঁয়ে দলিল লিখকের সনদের সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ১০৮ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।