মিট দ্যা প্রেস’এ তার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিলেন মাসুদুজ্জামান
- আপডেট সময়- ০৫:২৮:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরূপ মন্তব্য করা অনুচিত। দল যাকে যোগ্য মনে করে মনোনয়ন দিয়েছে, সবার উচিত সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা ও সমর্থন করা।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ‘মিট দ্যা প্রেস’ এ-র মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা তূলে বলেন।
মাসুদুজ্জামান বলেন, আমার নমিনেশন ঘোষণার পর অনেকে বাজেভাবে কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। তারা হয়তো ভাবছেন, এতে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করা যাবে। কিন্তু যারা এটা করছেন, তাদের বলব- যদি কোনো কথা থাকে, দলীয় ফোরামে বলুন; প্রকাশ্যে দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা কোনো ভাবেই ঠিক নয়।
দলীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নমিনেশন দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পাঁচটি গ্রুপ পুংখানুপুখ ভাবে তদন্ত ও অনুসন্ধান চালিয়ে আমাকে যোগ্য মনে করেছে। আজকের পর থেকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করব- এই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করছি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি ২৩৭টি আসনে প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করেছে দলীয় হাইকমান্ডের বিবেচনায় ও সিদ্ধান্তে। এটি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুমোদনক্রমে প্রকাশিত।
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- এটি একটি প্রাথমিক তালিকা, প্রয়োজনে সংশোধিত হতে পারে। সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত এই তালিকাই দলীয় বাধ্যতামূলক নির্দেশনা।
তিনি সতর্ক করে বলেন, “দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া কোনো ব্যক্তিগত বক্তব্য বা অবস্থান দলের ক্ষতি করে এবং অনৈক্য সৃষ্টি করে। ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করাই এখন আমাদের মূল দায়িত্ব।
সাবেক সাংসদ আবুল কালাম সম্পর্কে মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমি ব্যবসায়িক কাজে দেশের বাইরে ছিলাম, তাই উনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তিনি আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক, সিনিয়র নেতা আমি অতি শিগগিরই তার সঙ্গে দেখা করব।
দলীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। সবাই যদি এই চিন্তা করে, তাহলে বিভ্রান্তি বা কষ্টের জায়গা থাকবে না। আমি আবারও আহ্বান জানাই সকল মতপার্থক্য ভূলে আমরা যেন একসাথে কাজ করি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, আনোয়ার হোসেন আনু, সাবেক সহসভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক সহসভাপতি হাজী নূর উদ্দিন, মহানগর কমিটির সদস্য ফারুক হোসেন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন, মাহবুবুল্লাহ তপন, মনোয়ার হোসেন শোখন, আলমগীর হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম শিপলু, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু, মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর কৃষক দলের সভাপতি এনামুল খন্দকার স্বপন, নাসিকের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন, নারী নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, কৃষক দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক লিপি খন্দকার, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের জুলহাস মিয়া, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ১১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সারোয়ার মুজাহিদ মুকুল, ইফতেখার কায়েস রুমেল, জয়নাল আবেদীন, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া সংঘের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ইসাল উদ্দিন ইসা, তারেক জিয়া প্রজন্ম দলের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































