না’গঞ্জ আদালতে বাদীর পরিবারকে মারধর,অবশেষ ৩ দিন পর মামলা নিলো পুলিশ
- আপডেট সময়- ০৩:১৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

ছবি: সংগৃহীত
বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ আদালত পাড়ায় বাদীর ওপর হামলা,অবশেষে তিন দিন পরে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রধান আসামি করে মামলা নিয়েছে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
গত রোববার (২৬ অক্টোবর) মামলার জন্য এজাহার করা হলেও বিএনপি নেতার নাম বাদ দিতে পুলিশ চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ছিল বাদী ও বাদী পক্ষের লোকজনের।
পরবর্তী বহু আলোচনা সমালোচনার পর এবং মূলধারা বহু সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর টনক নড়ে প্রশাসনে, পরে এক ধরনের বাধ্য হয়েই মামলা রুজু করা হয়ে বলে ভুক্তভোগী জানিয়েছেন। উল্ল্যেখ্য, নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় আগের একটি মামলার বাদী ও তাঁর পরিবারের নারী-শিশুদের ওপর হামলার ঘটনায় তিন দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর পুলিশ এজাহারটি গ্রহণ করা হলো।
গত মঙ্গলবার রাতে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে এই মামলা (নম্বর ৫৬) ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের হয়। আদালত চত্বরে হামলায় আহত ব্যবসায়ী ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
গতকাল(২৯ অক্টোবর) বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার(এসপি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, মামলাটি ফতুল্লা মডেল থানায় রজু হয়েছে,পুলিশ তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মামলায় নাম উল্লেখ করা এজাহারভুক্ত ৯ আসামিরা হলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াতের তিন জুনিয়র আইনজীবী খোরশেদ আলম, আলামিন শাহ্ ও বিল্লাল হোসেন, অ্যাডভোকেট শাখাওয়াতের মুহুরি হিরন, আদালতে দায়ের করা আগের মামলার বিবাদী ইসমাইল, তাঁর ভাই টিটু, শাহা আলম ও রাসেল ব্যাপারী।
এ বিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, ঘটনার তিন দিন পর থেকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত এবং সমালোচিত হওয়ার পর গতকাল থানা থেকে আমাকে ফোন করে জানানো হয়েছে, মামলাটি এজাহারভুক্ত করা হয়েছে। এরপর থানা থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করেছি। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত,মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ভূঁইগড়ের সাত্তার সরকারের ছেলে ইসমাইলের কাছে ব্যবসায়ীক সুবাদে ২৫ লাখ টাকা পান নগরীর কালিরবাজার এলাকার স্যানিটারি ব্যবসায়ী ইরফান মিয়া।
এরপর তার কাছে পাওনা টাকা চাইলে তারা অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেনের হুকুমে তাদের বাসায় এসে হামলা ও হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। তাই তারা পাওনা টাকা চেয়ে বিজ্ঞ আদালতের দারস্ত হয়ে হামলা-হুমকির অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই জের ধরে গত ২৬ অক্টোবর রোববার দুপুর ১২টার দিকে অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খানের নির্দেশে তাঁর মুহুরি, জুনিয়র আইনজীবীসহ বেশ কয়েকজন বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে আদালতপাড়ায় মামলার বিবাদীরা আদালত প্রাঙ্গণে তাদের (ইরফান মিয়ার পরিবার) ওপর দূর্ধর্ষ হামলা চালায়। এসময় তার সাথে থাকা পাঁচ বছরের শিশু সন্তানকে মারধর করে, যা ঘটনার প্রমান ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। হামলায় ইরফান মিয়া ও তাঁর স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা, তাদের পাঁচ বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ, বড় ছেলে জাতীয় বক্সার জিদান গুরুতর আহত হন। মামলা তুলে না নিলে তাদের কেটে টুকরো করে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় হামলাকারীরা।
আদালতপাড়ায় মারধরের ঘটনার দিনই এই এজাহার ফতুল্লা থানায় দিলেও পুলিশ মামলা নিতে গড়িমসি করতে থাকে, এবং এজাহার থেকে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেনের নাম বাদ দিতে পুলিশ চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন তিনি।এরপর মামলা নিতে সোমবার রাত থেকে রাজিয়া সুলতানাসহ সপরিবারে ফতুল্লার থানার গেটে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ


































































































































































