সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, কুমারখালি, খুলনা, গণমাধ্যম, জাতীয়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, ফিচার, বাগেরহাট, বাংলাদেশ, শরণখোলা, সাতক্ষীরা
আজ বিশ্ব বাঘ দিবস

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৪:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫ ৫৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু,
শরনখোলা প্রতিনিধি।।
পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে গত কয়েক বছরে বাঘের সংখ্যা ১০৬ থেকে বেড়ে বর্তমানে ১২৫টিতে উন্নীত হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ১২৫টি বাঘ রয়েছে বলে ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপে উঠে এসেছে। সুন্দরবনে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ও চোরা শিকারীদের দৌরাত্ম্য কম হওয়ায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছে বন বিভাগ ও বাঘ কাজ করা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ সংশ্লিষ্টরা। তবে, বিশেজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনই হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বন্যপ্রাণীর বৃহত্তম আবাসভূমি। বন বিভাগ রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমিকে তাদের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ করতে পারেনি। সুন্দরবনকে বন্যপ্রাণীদের জন্য নিরাপদ করা গেলে দ্রুত বাঘের সংখ্যা আরও বাড়বে। সম্প্রতি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় বাঘের অবাধ বিচরণ ও প্রতিনিয়ত বাঘের সাবকের দেখা মিলছে বলে জানিয়েছে সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল জেলে বাঁওয়ালীরা। ১৯৮২ সালে জরিপে ৪২৫টি ও এর দুই বছর পর ১৯৮৪ সালে সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের ১১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় জরিপ চালিয়ে ৪৩০ থেকে ৪৫০টি বাঘ থাকার কথা জানানো হয়। ১৯৯২ সালে ৩৫৯টি বাঘ থাকার তথ্য জানায় বন বভিাগ। পরের বছর ১৯৯৩ সালে সুন্দরবনের ৩৫০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্যাগমার্ক পদ্ধতিতে জরিপ চালিয়ে ধন বাহাদুর তামাং ৩৬২টি বাঘ রয়েছে বলে জানায়। ২০০৪ সালে জরিপে বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। ১৯৯৬-৯৭ সালের জরিপে বাঘের সংখ্যা উল্লেখ করা হয় ৩৫০টি থেকে ৪০০টি। ওই সময়ে বাঘের পায়ের ছাপ পদ্ধতিতে গণনা করা হয়। ২০১৫ সালের জরিপে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে দাঁড়ায় ১০৬টিতে। হঠাৎ করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৪০০টি থেকে ১০৬টিতে এসে দাঁড়ালে সারা বিশ্বে হৈচৈ পড়ে যায়। সর্বশেষ বাঘ জরিপে সুন্দরবনে ১০৬ থেকে বেড়ে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ টি। বর্তমানে সুন্দরবনের বাঘের আনাগোনা যেভাবে দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হয় বাঘের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন বিভাগের বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, গত ২৫ বছরে পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৩০ টি বাঘের মৃত্যু তথ্য তাদের কাছে আছে। স্বাভাবিক।ভাবে মারা গেছে মাত্র ১০টি। ১৪টি বাঘ পিটিয়ে মেরেছে স্থানীয় জনতা, কিছু বাঘ হত্যা করেছে চোরা শিকারিরা। সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তাফালবাড়ি স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আঃ মালেক রেজা বলেন, লোকালয়ে আসা বাঘ নিরাপদে ফেরাতে ইতিমধ্যে ব্যাপক জন সচেতনতা সৃষ্টি করা হয়েছে। যার ফলে এখন আর মানুষ বাঘ পিটিয়ে মারে না। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগ বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন সুন্দরবনে বনদস্যুদের আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা ও চোরা শিকারিদের দৌরাত্ম্য কম হওয়ায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার বা বাঘের সংখ্যা সর্বশেষ জরিপে বেড়েছে। ইতিমধ্যেই বাঘের প্রজনন, বংশ বৃদ্ধিসহ অবাধ চলাচলের জন্য গোটা সুন্দরবনের অর্ধেকেরও বেশি এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এতে করে প্রজনন, বংশ বৃদ্ধিসহ বাঘ অবাধ চলাচল করছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ