সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, ঢাকা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
সুদানে ড্রোন হামলায় শহীদ সবুজের শেষ বিদায় গাইবান্ধার নিজ গ্রামে
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:১৪:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৫ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মো. সবুজ মিয়ার মরদেহ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তার নিজ গ্রাম গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে সামরিক মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।
বেলা ২টায় ঢাকা থেকে একটি হেলিকপ্টারে করে শহীদ সবুজের মরদেহ গাইবান্ধার তুলসীঘাট হেলিপ্যাডে আনা হয়। সেখান থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামের তার নিজ বাড়িতে।
দুপুরে গ্রামের ঈদগাহ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশ নেন। জানাজা শেষে কফিনবন্দি মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে গার্ড অব অনার সহকারে দাফন করা হয়।
মরদেহ কফিনবন্দি থাকায় পরিবারের সদস্যরা শেষবারের মতো তার মুখ দেখতে পারেননি। এ দৃশ্যে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মা ছকিনা বেগম বারবার ‘সবুজ, সবুজ’ ডেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বারবার জ্ঞান হারান।
স্ত্রী নূপুর আক্তার বলেন, “বিয়ের মাত্র এক বছর আট মাসের মাথায় স্বামীকে হারালাম। এখন জীবন কীভাবে চলবে জানি না।” তিনি তার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
রংপুর সেনানিবাসের ক্যাপ্টেন মো. আলভী জানান, শহীদ সবুজের শেষকৃত্য যথাযথ সামরিক সম্মান সহকারে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং তার পরিবারকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিক বেসে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হন। তাদের মধ্যে সবুজ মিয়া একজন। তিনি ২০১০ সালে সেনাবাহিনীতে ধোপি হিসেবে যোগদান করেন এবং পরবর্তীতে লন্ড্রি কর্মচারীর দায়িত্বে ছিলেন।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ












































































































































































