সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ
গাইবান্ধা হানাদার মুক্তির ৫৩ বছর: মুক্তিযোদ্ধাদের দেখেই পালালো পাকিস্তানি বাহিনী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৯:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
আজ ৭ ডিসেম্বর, গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর গাইবান্ধা জেলা শহর শত্রুমুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রায় ভীত হয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায় এবং গাইবান্ধার আকাশে প্রথমবারের মতো উড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা।
বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে গাইবান্ধায় আজও বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা।
১৯৭১ সালের এই দিনে কোম্পানি কমান্ডার বীরপ্রতীক মাহবুব এলাহী রঞ্জুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল ফুলছড়ির ফজলুপুর চর ও বালাসীঘাট হয়ে গাইবান্ধায় প্রবেশ করে। তাদের আগমনের খবর পেয়েই গাইবান্ধা শহরের স্টেডিয়ামে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনারা রাতের অন্ধকারে রংপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। ফলে কোনো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ ছাড়াই গাইবান্ধা শহর মুক্ত হয়।
হানাদার বাহিনীর পলায়নের পর তৎকালীন এসডিও মাঠ (বর্তমান স্বাধীনতা প্রাঙ্গণ) পরিণত হয় এক বিশাল জনসমুদ্রে। মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের সেই মিলনমেলায় প্রায় দশ হাজার মানুষ বিজয়ী বীর সেনাদের সংবর্ধনা জানান।
গাইবান্ধা শহর মুক্তির আগেই জেলার বিভিন্ন থানা হানাদার মুক্ত হতে শুরু করে। ৪ ডিসেম্বর মুক্ত হয় ফুলছড়ি ও সাঘাটা থানা। এরপর পর্যায়ক্রমে ৮ ডিসেম্বর পলাশবাড়ী, ১০ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ এবং ১২ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জ থানা শত্রুমুক্ত হয়। গাইবান্ধার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বাদিয়াখালীর যুদ্ধ, হরিপুর অপারেশন, কোদালকাটির যুদ্ধ, নান্দিনার যুদ্ধ, রসুলপুর স্লুইস আক্রমণ ও কালাসোনার যুদ্ধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ডিসেম্বর মাসজুড়ে গাইবান্ধার বিভিন্ন প্রান্তে সংঘটিত মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী অভিযান ও হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে সম্পূর্ণরূপে হানাদারমুক্ত হয় গাইবান্ধা জেলা। গাইবান্ধার এই মুক্তি ছিল রংপুর অঞ্চল তথা সমগ্র উত্তরবঙ্গ মুক্তির পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ৭ ডিসেম্বর তাই কেবল একটি তারিখ নয়, গাইবান্ধাবাসীর জন্য বীরত্ব, আত্মত্যাগ ও চূড়ান্ত বিজয়ের এক অবিনাশী স্মারক।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































