সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, নির্বাচন, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ, রাজনীতি
গাইবান্ধার ৫ আসনে জাপার প্রার্থী ঘোষণা; ২ আসনে লড়বেন মহাসচিব পাটওয়ারী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:৫০:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ২৩ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি। দলটির মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী একসাথে ২ টি আসনে প্রার্থী হয়েছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিতে আলোচনার সৃষ্টি করেছে। তবে একটি আসনে মনোনয়ন নিয়ে ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও পরিবর্তনে দাবির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জাতীয় পার্টির গাইবান্ধা জেলা সভাপতি সারওয়ার হোসেন শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সোমবার রাতে এ ঘোষণা প্রকাশ করেন। তথ্য অনুসারে, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) ও গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) ২টি আসনে দলের মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী প্রার্থী হচ্ছেন।
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে প্রার্থী হচ্ছেন আবদুর রশিদ সরকার, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি–সাদুল্লাপুর) আসনে ময়নূর রাব্বি চৌধুরী রুমান এবং গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে কাজী মশিউর রহমান।
ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারী গাইবান্ধা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একইভাবে আবদুর রশিদ সরকার গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি। ময়নূর রাব্বি চৌধুরী রুমান ও কাজী মশিউর রহমান পূর্বেও জাতীয় পার্টির টিকিটে নির্বাচন করেছেন।
জেলা সভাপতি সারওয়ার হোসেন শাহীন জানান, দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মনোনয়নে ৩ টি আসনে একক প্রার্থী ও ২ টি আসনে মহাসচিবকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন যে গাইবান্ধা-৫ আসনের প্রার্থিতা নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে। তিনি বলেন, প্রার্থীরা ইতোমধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে মাঠে নেমে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটওয়ারীর পরিবর্তে গোলাম শহীদ রঞ্জুকে প্রার্থী করার দাবি উঠেছে। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার একদল নেতাকর্মী প্রকাশ্যে এ দাবি জানিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, মহাসচিবের পরিবর্তে আসনটিতে দলের একজন “যোগ্য ও পরীক্ষিত” নেতাকে প্রার্থী করা উচিত।
গোলাম শহীদ রঞ্জু ইতিপূর্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ওই আসনের উপ-নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও স্থানীয় সমর্থকদের একাংশ রঞ্জুর পক্ষে মতামত দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, একটি আসনে মহাসচিবের প্রার্থিতা এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের দাবির মধ্যে সমন্বয় করতে না পারলে দলটি ঐ আসনে ভোটার বিভাজনের মুখোমুখি হতে পারে। অন্যান্য দলগুলোর প্রার্থী ঘোষণার পর গাইবান্ধার সব আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা জোরদার হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে স্থানীয় আপত্তি এবং দাবি সামলে উঠে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গাইবান্ধা-৫ আসনের প্রার্থী নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি তাই আসন্ন দিনগুলোয় দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ












































































































































































