সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, বাংলাদেশ, রংপুর
গাইবান্ধায় মাদরাসা সুপারের দুর্নীতির, তদন্তে ধরা পড়েছে সকল অনিয়ম
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:২০:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ইসবপুর দ্বি-মুখী ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সরেজমিন তদন্তে সুপার রেজাউল করিমের নিযুক্তি বাণিজ্য থেকে শুরু করে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন, শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ হাতানো, তহবিল আত্মসাৎ এবং নিজ ছেলেকে অসদুপায়ে পাস করানো ও চাকরি দেওয়ার চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
সাদুল্লাপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পরিচালিত তদন্তে সুপার রেজাউল করিমের বেশিরভাগ অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। হারুন অর রশিদ বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই তদন্ত প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাদরাসাটির সরেজমিন পরিদর্শন করে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং বিধি বহির্ভূতভাবে গোপনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিরাও জানেন না যে তারা কমিটিতে রয়েছেন।
তদন্তে উঠে এসেছে, সুপার রেজাউল করিম রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর একেএম আজিজুল বারীর সঙ্গে আত্মসাৎপূর্বক কাজ করে অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন। শিক্ষকদের বেতন স্কেল বৃদ্ধির নাম করে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এবং মাদরাসার জেনারেল ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়াও একাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীকে শোকজ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, সুপার রেজাউল করিমের ছেলে তানভীরুল ইসলামকে ২০২৫ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থী হিসেবে প্রক্সির মাধ্যমে পাস করানোর এবং তাকে একই মাদরাসায় কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে তদন্তে ধরা পড়েছে। এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণকে না জানিয়েই গোপনে একটি ম্যানেজিং কমিটি গঠন করেছেন তিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে সুপারের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর ভিত্তিতে দ্রুত আইনানুগ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ


























































































































