সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গণমাধ্যম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, ফিচার, বাংলাদেশ
গাইবান্ধায় বিনামূল্যে বীজ-সার পেয়ে প্রান্তিক কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৬:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ৩ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে নতুন আশার আলো ছড়িয়েছে সরকারের কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচি। রবি মৌসুমের আগে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উন্নত মানের ধান বীজ ও সার বিতরণ করে উৎপাদনশীলতা ও আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নিয়োজিত হয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজ ঈফফাত জাহান তুলি।
উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১ হাজার ৯৫০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে হাইব্রিড ধান বীজ (জনপ্রতি ২ কেজি) এবং ১ হাজার ৪০০ জন কৃষককে উফশী ধানের বীজ (জনপ্রতি ৫ কেজি), ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হচ্ছে। এই সহায়তা কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমিয়ে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রাশিদুল কবির বলেন, “সরকারের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক সহায়তা কর্মসূচির সুবিধা যেন প্রকৃত চাষীরা পান, আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি। রবি মৌসুমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা এবং উৎপাদন বৃদ্ধি এই প্রণোদনার প্রধান উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “এই প্রণোদনা কৃষকদের উৎপাদন ব্যয় কমানোর পাশাপাশি স্থানীয় কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, আমরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ও উন্নত কৃষি পদ্ধতির ব্যবহারেও কৃষকদের উৎসাহিত করছি, যাতে তারা কম জমিতেও বেশি ফলন পেতে পারেন।”
এই কার্যক্রমের মূল নেপথ্যের নায়ক হিসেবে স্থানীয় কৃষি বিভাগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তাদের অবদান অনস্বীকার্য। বিশেষ করে মো. রাশিদুল কবিরের দূরদর্শী পরিকল্পনা ও অক্লান্ত পরিশ্রম এই সাফল্যের কেন্দ্রে রয়েছে। তার গতিশীল নেতৃত্বে সুন্দরগঞ্জে গত কয়েক বছরে কৃষি উৎপাদনে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। তিনি ধান, গম, ভুট্টা, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলে উচ্চফলনশীল জাতের ব্যবহার বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস ও প্রদর্শনী প্লট তৈরির মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছেন। তার তত্ত্বাবধানেই উপজেলায় সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা, জৈব কৃষি ও পানি সাশ্রয়ী সেচ পদ্ধতির প্রসার ঘটেছে, যার ফলে কৃষকেরা কম খরচে বেশি উৎপাদন পাচ্ছেন।
মো. রাশিদুল কবিরের কৌশলগত পরিকল্পনায় উপজেলায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণেও অভাবনীয় গতি এসেছে। তার প্রচেষ্টায় অনেক কৃষক কম মূল্যে ভাড়ায় আধুনিক যন্ত্রপাতি পাচ্ছেন, যা শ্রম ও সময় দুটোই বাঁচাচ্ছে। এছাড়া, কৃষিপণ্যের সঠিক মুল্য নিশ্চিত করতে তিনি সরাসরি কৃষক-ক্রেতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং স্থানীয় হাট-বাজারে কৃষকবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছেন। তার অধীনে সুন্দরগঞ্জের কৃষকরা এখন শুধু চাষাবাদই নয়, বাজারজাতকরণ ও আধুনিক বিপণন কৌশলও রপ্ত করছেন।
আগামী রবি মৌসুমে সুন্দরগঞ্জের মাঠে মাঠে সোনালি শস্যের সম্ভাবনা দেখছেন কৃষকরা। সরকারি এই প্রণোদনা ও কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতা কৃষকদের আত্মবিশ্বাস ও উৎসাহ বাড়িয়েছে বহুগুণ। কৃষি কর্মকর্তা মো. রাশিদুল কবিরের নেতৃত্বে সুন্দরগঞ্জের কৃষি সেক্টর এখন একটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে উঠছে, যা অদূর ভবিষ্যতে গোটা অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির চেহারা বদলে দিতে সক্ষম হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিচ্ছেন।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































