স্বপ্ন পূরণে দুই প্রমিলা ফুটবলারের পাশে ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা
- আপডেট সময়- ০৪:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জে প্রমিলা ফুটবল একাডেমির দুই ফুটবলার দারিদ্র্যতার কারণে খেলাধুলার পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যেতে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
এর পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলা প্রশাসক(ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞার নানান ধরনের মানবিক কার্যক্রম দেখে আশান্বিত হয়ে বুধবার (৫ অক্টোবর) সরাসরি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হয় দুই প্রমীলা ফুটবল তারকা।
এ সময় জেলা প্রশাসক(ডিসি) দুই তরুণী ফুটবলার স্মৃতি আক্তার ও আফরোজা আফরিন লামহার স্বপ্ন ও দূরদর্শার গল্প গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং ধারণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পরেন।
প্রমিলা ফুটবল তারকা স্মৃতি আক্তার জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির নিয়মিত খেলোয়াড়। তার বাবা আব্দুল জলিল বেকারত্বরে কারনে ল। মা মালেকা বেগম গৃহিণী। তারা জেলার ভোলাইল শান্তিনগর আলিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
স্মৃতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন এবং এ বছর ডিগ্রি কোর্সে ভর্তি হতে চান। কিন্তু তার বেকার বাবার পক্ষে ভর্তি ফি দেওয়া সম্ভব নয় বিধায়, তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আর্থিক সহায়তা প্রার্থনা করেন, যাতে খেলাধুলার পাশাপাশি লেখাপড়াটাও চালিয়ে যেতে পারেন। জেলা প্রশাসক(ডিসি) তাদের জীবনের ও দূর্দশার কথা বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে তার পাশে দাঁড়িয়ে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
অপরজন, আফরোজা আফরিন লামহাও নারায়ণগঞ্জ প্রমিলা ফুটবল একাডেমির নিয়মিত খেলোয়াড়। তিনি আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের এসএসসি পরিক্ষার্থী। তার মা কানিজ ফাতেমা বিথী গৃহিণী এবং বাবা আমিনুল হাসান রানা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। নারায়ণগঞ্জের ১ নম্বর বাবুরাইল বউবাজার এলাকায় এক রুমের ভাড়া বাসায় থাকেন তারা।
তিনি জানান, তাদের একমাত্র উপার্জনক্ষম বারা সংসার চালাতে প্রচন্ডভাবে হিমশিম খাচ্ছেন। ফলে খেলাধুলার পাশাপাশি তার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই জেলা প্রশাসকের(ডিসি) কাছে আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা করেন।জেলা প্রশাসক(ডিসি) তার জীবনের কথা শুনে তাকেও নিরাশ করেননি এবং আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করেন।
চেক পাওয়ার পর স্মৃতি আক্তার বলেন, ডিসি স্যার আমাদের পড়াশোনা ও ফুটবল খেলা চালিয়ে যাওয়ার উৎসাহ যুগিয়েন।
আফরোজা আফরিন লামহা জানান, ডিসি স্যার আমাদের জেলায় থাকা অন্যান্য দরিদ্র প্রমিলা ফুটবলারের খোঁজ নিয়েছেন এবং বলেছেন, যারা সমস্যায় আছে তাদেরকেও সরাসরি তার কাছে পাঠাতে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, প্রমিলা ফুটবলারদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবেন জেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক(ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, একজন মেয়ে শিশু যদি আর্থিক দৈন্যতার কারনে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে না পারে, সেটি আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।তাই আজ দুইজন প্রমিলা ফুটবলার আমার কাছে এসেছিল, তাদের জীবনের গল্প শুনার মাধ্যমে আরও কয়েকজন আর্থিক সংকটে থাকা প্রমিলা খেলোয়াড়ের কথা জেনেছি। তাদেরও সাধ্যমতো সহযোগিতার আশ্বাসের কথা জানান এ জেলা প্রশাসক(ডিসি)
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































