ভাঙ্গায় স্কুল পড়ুয়া মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় মায়ের ট্রেনে নিচে আত্মহনন
- আপডেট সময়- ০৩:৪০:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় স্কুল শিক্ষার্থী মেয়ের পালিয়ে যাওয়ার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অভিমানে এক মা আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত মায়ের নাম মিম বেগম (৩৭)। তিনি উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গোডাউন বালিয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আনোয়ার কাজীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে ভাঙ্গা উপজেলার গোডাউন বালিয়া গ্রামের রেললাইন সংযোগ স্থানে এই হৃদয় বিদায়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ভাঙ্গা প্রস্তাবিত রেলওয়ে থানার ইনচার্জ সাফুর আহমেদ, এএসআই শওকত হোসেন, কনস্টেবল ফিরোজ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ অন্যান্য।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মিম বেগমের মেয়ে আশিকা (১৪) ভাঙ্গা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। কয়েকদিন আগে আশিকা এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ভাঙ্গা থানা পুলিশের সহায়তায় ফিরিয়ে আনেন তার মা মিম বেগম। গতকাল মেয়েকে কোচিং করাতে ভাঙ্গা বাজারে নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে পুনরায় মেয়েটি পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই মা মিম বেগম মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আর বাড়িতে ফেরেননি। অবশেষে আজ সকালে ট্রেনের কাটা তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানান স্থানীয়রা
সকালে খুলনা থেকে ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিম বেগম।
স্থানীয়রা আরো জানান, ট্রেনে কাটা পরা মহিলাটি (মিম) খুবই ভালো মানুষ ছিলেন তবে মেয়ের (আশিকা) গতকাল চান্দ্রা গ্রামের এক ছেলের সাথে চলে যাওয়ায় তিনি অনেক কষ্ট, দুঃখ হতাশায় ভুগছিলেন। এই দুঃখে, লজ্জায় এবং হতাশায় মহিলাটি আত্মহত্যা করেন বলে জানান উপস্থিত জনগণ।
এবিষয়ে ভাঙ্গা রেলওয়ে প্রস্তাবিত থানার ইনচার্জ (এস.আই) সাফুর আহমেদ দৈনিক রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, “আমরা খবর শুনে দ্রুত ঘটনা স্থলে আসি। ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এক মহিলার বিকৃত লাশ দেখতে পাই। মৃত্যের বিষয়ে ধারণা করা হচ্ছে মহিলাটি কোনো হতাশায় ভুগছিলেন এমন ঘটনা থাকতে পারে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।”
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































