সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, রাজনীতি
গাইবান্ধার ৫টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন যারা
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১১:২৬:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গাইবান্ধা জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে তাদের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ঘোষণায় গাইবান্ধার সবকটি আসনে দলের অভ্যন্তরীণ ত্যাগী ও কাজের লোকদেরই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ী, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জেলা বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া, গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিছুজ্জামান খান বাবু, গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে বিএনপি নেতা শামীম কায়সার লিংকন এবং গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন কিন্তু পাননি, গাইবান্ধা-১ আসনের উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের মতো নেতারাও দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে প্রার্থীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে তারা কেউ নন এবং দল যাকে ভালো মনে করেছে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
দলের তৃণমূল পর্যায়ে মনোনয়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে ব্যাপক সন্তোষ। গাইবান্ধা জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক ভুট্টু বলেন, এবার দল কোনো ভাড়াটে বা টাকার বিনিময়ে কাউকে মনোনয়ন দেয়নি। বিএনপির দুঃসময়ে যারা দলের হাল ধরেছেন, সেই ত্যাগী লোকদেরকেই মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর ফলে নেতাকর্মীরা ধানের শীর্ষ প্রতীককে বিজয়ী করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন।
মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. মইনুল হাসান সাদিক নিজেকে দলের দুঃসময়ের সাথী হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, দল তার কাজের মূল্যায়ন করেছে, যার জন্য তিনি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তার লক্ষ্য হলো বিপুল ভোটে জয়লাভ করে এই আসনটি দলকে উপহার দেওয়া।
গাইবান্ধার রাজনৈতিক ইতিহাসে বিএনপির শক্ত অবস্থান থাকলেও গত কয়েকটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগীরা জয়ী হয়েছিলেন। এবারের মনোনয়নকে স্থানীয়ভাবে একটি ‘সঠিক ও ঐক্যবদ্ধ’ সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকায় দলীয় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগের মাধ্যমে প্রচারণা জোরদার করার প্রস্তুতি চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গাইবান্ধার পাঁচটি আসনেই, বিশেষ করে গাইবান্ধা-৩, গোবিন্দগঞ্জ ও সদর আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ তীব্র হবে। বিএনপি তাদের পুরনো ভোটব্যাংক পুনরুদ্ধার করতে এবং তৃণমূলের সমর্থন দৃঢ় করতে এবার মাঠে নেমেছে ত্যাগী ও স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য নেতাদের নিয়ে, যা আগামী নির্বাচনে জেলার রাজনৈতিক সমীকরণকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































