পর্নো-তারকা যুগল অন্য বাংলাদেশিদেরকেও ওয়েবসাইটে যুক্ত করে: সিআইডির তথ্য

- আপডেট সময়- ১১:১৯:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে

বান্দরবানে গ্রেপ্তার পর্নো-তারকা যুগল। ছবি: সংগৃহীত
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যুক্ত থেকে অশ্লীল ভিডিও কনটেন্ট তৈরি ও প্রচারের অভিযোগে বান্দরবন থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডি বলছে, পর্নো ওয়েবসাইটগুলোতে অন্য বাংলাদেশিদের এ সাইটে যুক্ত করার অভিযোগ রয়েছে এই দম্পতির বিরুদ্ধে।মূলত নতুনদের যুক্ত করলে মুনাফা দিত আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটগুলো।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
এসময় জসীম উদ্দিন খান বলেন, ওই দম্পতি বিদেশি একটি নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্নো ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করতেন। তাদের পরিচালিত চ্যানেলটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্নো সাইটগুলোর মধ্যে একটি শীর্ষস্থানে উঠে আসে। শুধু তারা নিজেরাই নয় রয়েছে অন্যদের যুক্ত করার অভিযোগও।
এ বিষয়ে সোমবার বিকেলে সিআইডি সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, তারা বাংলাদেশে বসেই ভিডিও ধারণ, সম্পাদনা ও আপলোড করতেন এবং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন করছিলেন।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণ একটি ফৌজদারি অপরাধ। এই যুগল শুধু নিজেরা অপরাধই করছেন না বরং অন্যদেরও এই পথে যুক্ত হতে উৎসাহিত করছেন,
যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বসে পর্নো ভিডিও বানানো এবং প্রচারের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে উঠছে।
সম্প্রতি ঢাকাভিত্তিক একটি ডিজিটাল অনুসন্ধানমূলক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডিসেন্ট’ এই দুই যুগলের বিষয়টি সামনে আনে।
বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ অনুযায়ী, পর্নোগ্রাফি তৈরি, বিতরণ বা সংরক্ষণ করা অপরাধ; এজন্য অপরাধীদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
এই সুস্পষ্ট আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও, দুই দম্পতি যুগল আন্তর্জাতিক পর্নোগ্রাফি বাজারে নিজেদের বড় অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ