না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতালের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম তুলে ধরতে ডিজিটাল ডিসপ্লের উদ্বোধন
 
																
								
							
                                - আপডেট সময়- ০৫:২৫:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫ ৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরনে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের যৌথ উদ্দ্যোগে ডিজিটাল ডিসপ্লে উদ্বোধন করা হয়েছে। মূলত হাসপাতালটির ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ডিজিটাল ডিসপ্লে চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা এই ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডটির শুভ উদ্বোধন করেন।
এসময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, ৩’শ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, ডা. আবুল বাশারসহ হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এসময় জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, মানুষের জীবনের সবচেয়ে দুর্বল ও অসহায় মুহূর্ত গুলোতে সুচিকিৎসার প্রত্যাশায় হাসপাতালে ছুটে আসে চিকিৎসা নিতে।
বিশেষ করে আসহায় গরীব, অসচ্ছল ও নিম্ন আয়ের মানুষ সরকারি হাসপাতালের উপরই নির্ভরশীল। প্রায় এক কোটি মানুষের এই জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ গুরুত্বের সাথে একত্রিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
ডিসি আরও বলেন, রোগীদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে হুইলচেয়ার সরবরাহ, ডেঙ্গু কিট বিতরণ এবং আয়রন ট্যাবলেট প্রদানসহ বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়েছে। তবে এতসব উদ্যোগ গ্রহণ করার পরেও জনমনে একটি প্রশ্ন রয়ে গিয়েছিল- সরকারি হাসপাতালে গেলে কি সত্যিই কাঙ্ক্ষিত সেবা পাওয়া যায়? কেউ কেউ অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ রোগীদের ঢাকায় রেফার করে দেওয়া হয়। অথচ হাসপাতালের তথ্য বলছে, প্রতিদিনই প্রচুর রোগী এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শুধুমাত্র চলতি মাসেই খানপুর হাসপাতালে প্রায় ৬৫ হাজার অসুস্থ রোগী সেবা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এই বাস্তব চিত্র জনসাধারণের সামনে স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করতে হাসপাতালটিতে ৩ টি ডিজিটাল বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে তারা তাদের প্রশ্নের উত্তর পেতে পারেন।
এ সব ডিজিটাল স্কিন বোর্ডগুলোতে প্রতিদিন প্রদর্শিত হবে- কতজন রোগী হাসপাতালে এসেছেন, কতজন ইমারজেন্সি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন, কতজন রোগী অপারেশন থিয়েটারে গেছেন এবং কতজন রোগীকে কী কারণে অন্যাত্র রেফার করা হয়েছে।
এই নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে হাসপাতালের দৈনন্দিন সেবা কার্যক্রম জনগণের কাছে উন্মুক্ত থাকবে। ফলে চিকিৎসা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং নাগরিকদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের প্রতি আস্থা আরও দৃঢ় হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
নিউজটি শেয়ার করুন..

- 
                                    সর্বশেষ সংবাদ
- 
                                    জনপ্রিয় সংবাদ
 
																			


































































































































































