সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, ফরিদপুর, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, ভাঙ্গা, রাজনীতি
ভাঙ্গায় নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে

ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি।।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য ও যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আজাদুজ্জামান বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এতে হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়াকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছে বলে জানা যায়।
পুলিশের দায়ের করা মামলার এজাহারে থানায় হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের আওতাধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে সংযোগ করা হয়। এর প্রতিবাদে গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রথমে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-
বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। তবে ওই দিন বিকেলে ইউএনও মিজানুর রহমানের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তিনদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন।
সোমবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা কর্মসূচি শুরু করেন।
গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ অবরোধ থেকে গড়ায় সহিংসতায়। এদিন দুপুরে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেওয়া পুলিশের দেরকে অতর্কিতভাবে ধাওয়া দিয়ে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, একই সাথে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানাসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আন্দোলনকারী জানান, আমরা গত ৫-৭ দিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কোন ভাঙচুর বা কারো প্রতি কোন কিছুই করিনি। আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ছিল এবং কখনোই তারা ভাঙচুর করতে চায়নি। তবে গত রোববার যে, অসহিংসতার ঘটনা ঘটে তা মূলত আমাদের দাবি-দাওয়া কে নস্যাৎ করার জন্যই কিছু দুষ্কৃতিকারীরা করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ মামলায় এখনো কোনো গ্রেপ্তার হয়নি। ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদে ভাংচুরের ঘটনায়ও মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে সূত্রে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন এক গেজেটে ফরিদপুর-৪ আসনের আওতাধীন ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন কেটে ফরিদপুর-২ আসনে সংযোগ করা হয়।
এর প্রতিবাদে গত ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার প্রথমে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয়রা। তবে ওই দিন বিকেলে ইউএনও মিজানুর রহমানের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা তিনদিনের জন্য কর্মসূচি স্থগিত করেন।
সোমবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে তিনদিন সকাল-সন্ধ্যা কর্মসূচি শুরু করেন।
গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর টানা তিনদিন অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা দেয়। এই কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ অবরোধ থেকে গড়ায় সহিংসতায়। এদিন দুপুরে ভাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেওয়া পুলিশের দেরকে অতর্কিতভাবে ধাওয়া দিয়ে ভাঙ্গা থানায় হামলা চালায়, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে, একই সাথে উপজেলা পরিষদ কার্যালয়, ভাঙ্গা হাইওয়ে থানাসহ বিভিন্ন সরকারি কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এ ছাড়া গত রোববার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কঠোরভাবে আন্দোলন দমন করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) আলগী এবং হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে দেড়শজনকে অজ্ঞতানামা আসামি দেখিয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে পুলিশ। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম. ম. সিদ্দিক মিয়া কে।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ