ফের জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

- আপডেট সময়- ০৫:১৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
রাজধানীর কাকরাইলে আবারও জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। জাপা এই হামলার জন্য গণ অধিকার পরিষদকে দায়ী করলেও, গণ অধিকার পরিষদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও জাপা সূত্র জানায়, সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে গণ অধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু ব্যক্তি কার্যালয়ে হামলা চালায়। তারা নিচতলায় ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। হামলার সময় জাপার কয়েকজন নেতা-কর্মী কার্যালয়ে ছিলেন, তবে তারা মিছিল দেখে সরে যান। পুলিশ উপস্থিত থাকলেও সংখ্যায় কম হওয়ায় বাধা দিতে পারেনি। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে জলকামান ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। রাত আটটার দিকে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
হামলার পর জাপা কার্যালয়ের নিচতলার আসবাব, নথিপত্র ও দলীয় চিহ্ন পুড়ে যায়। দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছবি এবং জাপার লোগো ভাঙচুর করা হয়। প্রতিবাদে জাপা নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের সামনে মিছিল করে এবং ‘জাতীয় পার্টি জিন্দাবাদ’, ‘জি এম কাদের এগিয়ে চলো’ ও ‘কে বলে এরশাদ নাই’ স্লোগান দেন।
জাপার মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, “দেশে মবতন্ত্র চলছে। সরকার এর দায় এড়াতে পারে না।” তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় না আনলে দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন। জাপার যুগ্ম মহাসচিব যুবের আলম খান জানান, ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সভা চলাকালে হামলা হয়। এতে তাদের চারজন নেতা-কর্মী আহত হন।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানের পর জনগণ জাপার ওপর ক্ষুব্ধ। বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা করেছে, এর সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
এর আগে গত ২৯ ও ৩০ আগস্টও জাপা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ২৯ আগস্ট গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক হামলায় আহত হন এবং এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগে সমাবেশ করে গণ অধিকার পরিষদ জাপার নিবন্ধন বাতিল, রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানায়। সমাবেশ শেষে তাদের মিছিল থেকে এই হামলা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম বলেন, “হামলাকারীরা দ্রুত আগুন লাগিয়ে চলে যায়। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।” এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ