না’গঞ্জে ফের মাদকবিরোধী ব্লক রেইড, শীর্ষ কারবারি আলম চানসহ আটক-২৪

- আপডেট সময়- ০৭:৫৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১০১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জে আবারও আইন-শৃঙ্খলা ও মাদক নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ মাদকবিরোধী ব্লক রেইড পরিচালনা করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে টানা তিন ঘণ্টা নগরীর জিমখানা বস্তি ও লেকপাড় এলাকায় এই ব্লক রেইড অভিযান চালিয়ে শীর্ষ মাদক কারবারী একাধিক মামলার আসামী আলম চানসহ ২৪ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
অভিযানে আটককৃতরা হলেন, শীর্ষ চিহ্নিত মাদক কারবারি আলম চাঁন(৫৫) জিমখানার পারভীন আক্তার (৩৫) ও আফরিনা আক্তার হাসি (৫০)-কে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া দেড় কেজি গাঁজা, ৩০ পিস ইয়াবা, একটি বিদেশি মদের বোতল, তিনটি বড় ছুরি, একটি চাপাতি, দুটি লাঠি ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও অভিযানে, মাদকসেবনের দায়ে পাঁচজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি. এম. রাহসিন কবির।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, নতুন জিমখানা এলাকার মোখলেছের ছেলে মো. ফয়সাল (২১) ১২ দিন, জল্লার পারের মোহাম্মদ লিটনের ছেলে রিফাত (২০) ১২ দিন, মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে মো. মোস্তফা হোসেন (২৫) ১৪ দিন, দেওভোগ পাক্কা রোডের মৃত মোশারফ ভূঁইয়ার ছেলে জুবায়ের ভূঁইয়া রানা (৩৬) ২০ দিন ও নিতাইগঞ্জ ডালপট্টির মৃত চিত্তরঞ্জন নন্দীর ছেলে অভিনন্দী (৩০) ৭ দিন।
এসময় আটক অপর ১৬ জনকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদকসেবী ও বিক্রেতাদের আড্ডার তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। মাত্র কিছুদিন আগে ফতুল্লায় অভিযানের পর এবার সদর থানার মাদকের আখড়া খ্যাত জিমখানায় অভিযান চালানো হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল শীর্ষ মাদক কারবারি, একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামী আলম চাঁনকে গ্রেপ্তার করা, যার নামে অসংখ্য মাদক মামলা রয়েছে। এ অভিযানে তাকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আলম চাঁনের হেফাজত থেকে দেড় কেজি গাঁজা, বিদেশি মদ ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় দুই নারীর কাছ থেকেও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করা হবে। যৌথবাহিনীর অভিযানটি পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি. এম. রাহসিন কবির ও সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ আব্দুল্লাহ এবং সদর থানাধীন পুলিশ সদস্যবর্গ।