না’গঞ্জে উদ্ধারকৃত ২৩ একর জমিতে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক: ডিসি

- আপডেট সময়- ০৫:১৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাট সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের পাশে থাকা প্রায় ৭০ বছর ধরে বেদখল থাকা ২৩ একর জমি উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন।
জমিটির আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৬০ কোটি টাকার উর্দ্বে। উদ্ধারকৃত এই জমিতে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক(ডিসি)।
সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত হওয়ার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের মালিকরা ভারতে চলে গেলে এই বিপুল পরিমাণ অরক্ষিত জমি অব্যবস্থাপনার সুযোগে স্থানীয় শতাধিক পরিবার অবৈধভাবে চাষাবাদ শুরু করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের সাবেক স্থানীয় সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবুর লোকজন কৃষকদের কাছ থেকে উক্ত জমি দখলে নিয়ে অবৈধ পন্থায় বালুর ব্যবসা শুরু করে।
এরপর ৫ আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও উক্ত জমি দখলে যায়, পর ফলে এলাকায় ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের শঙ্কা দেখা দেয়। এমন সংবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আড়াইহাজার উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন, যেন এক ইঞ্চি জমিও আর বেদখল না হয়। জমিটি মালিকবিহীন হিসেবে খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য যে, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার, কানুনগো ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর প্রতিবেদন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুপারিশ যাচাইয়ের ভিত্তিতে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ অনুযায়ী জমিটি খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করেছেন জেলা প্রশাসক(ডিসি) জাহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে আড়াইহাজার উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দীন জানান, জেলা প্রশাসকের(ডিসি) মহোদয়ের নির্দেশনার পর সকল ভূমি দাবিদারকে কাগজপত্র জমা দিতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এরপরে গনশুনানিতে যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, এ জমির সকল দাবিদার ভুয়া প্রমানিত হয়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করা হয়। বর্তমান বাজার দরে জমিটির আনুমানিক মূল্য ৬০ কোটি টাকা হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) এস কে মো: মামুনুর রশীদ দ্রুত এ সংক্রান্ত ফাইল জেলা প্রশাসকের(ডিসি) কাছে পাঠান। পরে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম গত সেপ্টেম্বর ১৬ নথিতে স্বাক্ষর করে জমিটি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত করার আদেশ দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক(ডিসি) জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “এই জমিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে ভবিষ্যতে জমিটি আর বেদখল হবে না। পাশাপাশি স্থানীয়রা পর্যটন সুবিধা থেকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন বলে আশা করছি।