না’গঞ্জে ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থী মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের উদ্বেগ

- আপডেট সময়- ০৫:৪১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি।।
ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থী ঘটনায় তদন্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও “যারা আহত হয়েছেন তাদের সকলের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং যে ক্ষয়-ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে সেই বিষয়েও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এবং সেই কমিটির তদন্তের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণসহ যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শিক্ষার্থী ও ইজিবাইক চালকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলার পর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উভয়পক্ষ ও রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কোন তৃতীয়পক্ষের ইঙ্গিতে চাষাঢ়া মোড় থেকে এখানে (ডিসি অফিস) এসে রাস্তা বন্ধ করতে হলো, আমরা এটি খতিয়ে দেখবো। কেন এই ঘটনা ঘটানো হলো তাও তদন্ত করে বের করা হবে। এবং কেন ১১টার ঘটনা আমাদেরকে অবগত না করে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলো, এটি তদন্তের মাধ্যমে বের করবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ তদন্ত কমিটি।
ডিসি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, “আমাদের ছাত্র ভাইয়েরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু আজকে এ ধরনের হাতাহাতি সংঘর্ষ হতে পারে আমাদের ধারণা ছিল না।
ছাত্র ভাইদের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, কারণ আমাদের যে জনবল রয়েছে সেই জনবল দিয়ে শহরের যানজট পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সেজন্য আপনাদের সহযোগিতা জন্য তাদেরকে নেওয়া হয়েছে। আপনি দায়িত্বের জায়গা থেকে যতটুকু প্রয়োজন করবেন।তার বেশি নয়। কিন্তু গাড়ির গ্লাস ভাঙ্গা বা কারও গায়ে হাত দিবেন না। স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছেন এটা আপনাদের সঙ্গে যায় না।
ডিসি আরও বলেন, “আমরা আপনাদের জন্য দ্রুত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পাশাপাশি পরিচয়পত্র প্রদান করার ব্যবস্থা করা হবে। তবে মনে রাখতে হবে যে রিকশা, সিএনজি ও অটো চালকেরাও মানুষ। তাদের সাথে কোন ধরনেরই খারাপ আচরণ করা যাবে না। এবং আপনারা আইন হাতে তুলে নিবেন না।”
ইজিবাইক চালকদের উদ্দেশে ডিসি বলেন, “আমরা কখনও আপনাদের ওপর কঠোর হইনি, এবং হতেও চাই না। আপনারা দেশের নাগরিক, বৈধভাবে থাকবেন। কিন্তু আমাদের শহর ও সকল মানুষের স্বার্থে আমরা যে আইন করেছি সেটি স্বশ্রদ্বে আপনাদেরকে মানতে হবে। আপনারা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। এবং আমরা আগে যেভাবে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম, সেখানে সাইনবোর্ড দিয়ে দেওয়া হবে। এবং এর বাহিরে কেউ যেতে পারবেন না।
জেলা প্রশাসক(ডিসি) আরও বলেন, “কিছু হলে আপনারা ১০/২০ জন জড়ো হয়ে একজনের ওপর আঘাত করবেন, এবং আর এক গ্রুপ আপনাদের ওপর আঘাত করবে। এসব বন্ধ করতে হবে। এবং অভিযোগ উঠেছে যে, অটোতে দেশীয় অস্ত্র থাকে, এটি আর শুনতে চাই না।
গাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও আহ্বান জানান তিনি।
এ জরুরি সভার আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের(নাসিক) সচিব নূর কুতুবুল আলম, সেনাবাহিনীর মেজর আয়াজ উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) নাইমা ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জামায়াতে ইসলামী মহানগরের সাবেক আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ, ইসলামী আন্দোলন মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আহমেদুর রহমান তনু প্রমুখ।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ