জরাজীর্ণ সাঁকো, ২-যুগেও রাস্তা নির্মান হয়নি বৈদ্যের বাজার জেলে পল্লীতে

- আপডেট সময়- ০৪:৪৯:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১৬ বার পড়া হয়েছে

আব্দুস সালাম সুজন,
সোনারগাঁ(নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধি।।
চলাচলের একমাত্র মাধ্যম জরাজীর্ণ ভাঙ্গা কাঠের সাঁকো। সোনারগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের জয়রামপুর জেলে পাড়ায় যেতে হয় এই ভাঙ্গা, জরাজীর্ণ কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে। দীর্ঘ ২ যুগেও এ গ্রামের মানুষ কোন রাস্তা ঘাটের দেখা পায়নি। উপজেলা পরিষদের ২০০ মিটার উত্তরে এ গ্রামে উন্নয়ন হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া পৌছায়নি। গ্রামটিতে। এ যেন বাতির নিচে অন্ধকার। মেঘনা নদীর বৈদ্যের বাজার অংশে জেলে পাড়ায় বসবাস করতো সুবল বর্মন নামের একজন জেলে । নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়লে ১৯৯২ সালে সোনারগাঁও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের জয়রামপুর গ্রামে বসত বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করে। পরবর্তীতে আরও বেশ কয়েকটি পরিবার নদী ভাঙ্গার কারনে এ গ্রামে বসবাস শুরু করে। কিন্তু দীর্ঘ ২ যুগেও বেশি সময়ে হয়নি কোন রাস্তা , একটি বাশেঁর সাঁেকা বাানিয়ে যাতায়ত করতে থাকে।
২০০১সালে আমিনপুর ইউনিয়ন থেকে সোনারগাঁও পৌরসভায় রুপান্তিরিত হওয়া সোনারগাঁ ও পৌরসভা ৯টি ওযার্ডে বিভক্ত হলে জয়রামপুর জেলে পাড়া ৮ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি নির্বাচন গেলেও কোন মেয়র বা কাউন্সিলরই এ গ্রামের রাস্তা নিয়ে কোন পরিকল্পনা পেশ করেনি সোনারগাঁও পৌরসভায়। শুধু মাত্র ২০১৩ সালে কাবিখা প্রকল্পরে মাধ্যমে কয়েকটন গমের বরাদ্দ দিয়ে একটি কাঠের সাঁকো বানিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে গ্রামবাদী একটি পাকা পুল নির্মানের দাবি করলেও তা পূরণ হয়নি।
কালাপাহাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকগ সুবল চন্দ্র বর্মন বলেন, এ গ্রামে একটি রাস্তা নির্মান সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের ২টি বড় উপাসানালয় রয়েছে একটি গোবিন্দপুর আশ্রম কেন্দ্র ও অপরটি বানীনাথপুর গ্রামে শ্রী শ্রী গৌড় নিতাই আখড়া । আমাদের সনাতন ধর্মের মানুদের জন্য উপাসনা করতে প্রতিনিয়ত এ দুটি উপাসানালয়ে যেতে হয়। কিন্তু কোন রাস্তা না থাকায় ঘুরে মেইন রাস্তা হয়ে গোবিন্দপুর যেতে হয়। যদি জয়রামপুর গ্রাম দিয়ে একটি রাস্তা হতো তাহলে খুব সহজেই আমরা যাওয়া আসা করতে পারতাম। তাতে আমাদের অনেক মা-বোনদের ও বৃদ্ধ -বৃদ্ধাদের পূজা অর্চনা করতে সহজ হতো।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ গ্রাম বাস করছে নেকবর আলী মুন্সী পাইলট হাই স্কুলের সাবেক ইংরেজি সহকারী শিক্ষক মোতালিব মাষ্টার তিনি আক্ষেপ করে বলেন , একটি রাস্তা আমাদের গ্রামে অনেক প্রয়োজন । উপজেলার খুব কাছে হয়েও আমরা একটা রাস্তার জন্য আধুনিক সযোগ – সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আশা করি খুব শ্রীঘ্রই জয়রামপুর গ্রামে একটি রাস্তা হবে।