সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ
গাইবান্ধায় দেশের সর্বোচ্চ ও বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় অবস্থিত শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ ও কালী মন্দির কমপ্লেক্সটি ইতিমধ্যে দেশব্যাপী তীর্থযাত্রীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। এর মূল আকর্ষণ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদিযোগী শিবমূর্তি, যা এই মন্দির প্রাঙ্গণে অবস্থিত।
২৮ ফুট উচ্চতা ও তিন টন ওজনের এই বিশাল শিবমূর্তিটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম। স্থানীয় বাসিন্দা ও মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু নিজে এর নকশা প্রণয়ন করেন। কারিগর মালাকর বিধান মহন্তের দক্ষ হাতে তা বাস্তব রূপ পায়।
বর্তমানে এখানে আরও একটি বিশাল মূর্তি নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। ৫৩ ফুট উচ্চতার এই কৃষ্ণমূর্তিটি হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ কৃষ্ণমূর্তি। মন্দির কমপ্লেক্সটি মোট ১৩৮ শতক জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখন পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজে ব্যয় হয়েছে ১৭ কোটি টাকা।
মন্দির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে চার হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন। সপ্তাহের বিশেষ দিনে কিংবা উৎসবের সময় এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার। দর্শনার্থীদের জন্য বিনামূল্যে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। রয়েছে সুইমিংপুল, কৃত্রিম পাহাড় ও শিশুপার্ক।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিপুল চন্দ্র বর্মন জানান, এই মন্দির কমপ্লেক্সে ১৪৪টি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে পাঁচটি মন্দির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয়দের সহযোগিতা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের কঠোর প্রচেষ্টায় এই প্রকল্প এগিয়ে চলেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হরিদাশের মতে, এই মন্দিরের কারণে এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি এসেছে। দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের ভিড়ে ব্যবসা-বাণিজ্যেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
মন্দির প্রতিষ্ঠাতা শ্রী হরিদাস বাবু সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে এই প্রকল্পকে আরও উন্নত করার আশা প্রকাশ করেছেন। তার ভিশন হলো, এই স্থানটি যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থস্থানে পরিণত হয়।
এই মন্দির কমপ্লেক্সটি তার দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য, সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা এবং আধ্যাত্মিক পরিবেশের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষকে আকর্ষণ করছে। এটি গাইবান্ধাকে বাংলাদেশের পর্যটন মানচিত্রে একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যাবে বলে আশাবাদী এলাকার জনসাধারণ।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ