বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ

- আপডেট সময়- ০৪:২০:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ অগাস্ট ২০২৫ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
আজ ২২শে শ্রাবণ, বাঙালির মননে চির অম্লান বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী। ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে (৭ আগস্ট ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর পৈতৃক বাড়িতে তার জীবনাবসান হয়েছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীলতা, সাহিত্য ও দর্শনের বিশাল প্রভাব বাঙালি জাতিসত্তা ও সংস্কৃতিতে আজও অম্লান। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতি গভীর শ্রদ্ধায় তাকে স্মরণ করছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মাত্র আট বছর বয়সে লেখালেখি শুরু করেছিলেন। তার সৃজনপ্রতিভা বাংলা কাব্য, উপন্যাস, ছোটগল্প, প্রবন্ধ, নাটক, ভ্রমণ, চিঠিপত্র, শিশুসাহিত্যসহ বাংলা সাহিত্যকে এক স্বর্ণময় উজ্জ্বলতা দান করেছে। গীত রচনা ও সুরস্রষ্টা হিসেবে তিনি নিজেই নিজের তুলনা। রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশাল একটি অংশে যে পরমার্থের সন্ধান করেছিলেন, এই দিনেই সেই পরমার্থের সঙ্গে তিনি লীন হয়েছিলেন।
সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিক্ষাবিস্তার, সাংগঠনিক কর্ম ও সমাজকল্যাণমূলক কাজেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি কৃষক ও পল্লি উন্নয়নের জন্য চালু করেছিলেন কৃষিঋণব্যবস্থা। নতুন ধরনের শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্বভারতীর মতো প্রতিষ্ঠান। জালিয়ানওয়ালাবাগে দেশবাসীর ওপর ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ সেনাদের হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে তিনি ত্যাগ করেছিলেন নাইটহুড খেতাব।
দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সারদা সুন্দরী দেবী দম্পতির ১৫ সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন ১৪তম। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ কলকাতার বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারের জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তার জন্ম। ঠাকুর পরিবারের এই সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ শৈশবেই তার মনকে মুক্ত করে দেয়। পরবর্তীকালে বাংলার পদ্মা, মেঘনা, যমুনায় নৌকায় ভ্রমণের মধ্য দিয়ে তিনি নিসর্গ ও সাধারণ মানুষের জীবনের যে অভিজ্ঞতা লাভ করেন, তা তার সাহিত্যে বিপুলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও তার গান সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছে এবং তার রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি আমাদের জাতীয় সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বাঙালির হৃদয়ে চির অম্লান হয়ে আছেন।
বিশ্বকবির প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট মিলনায়তনে রয়েছে বিশেষ অনুষ্ঠান। এছাড়া, আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমির আয়োজনে কবি শামসুর রাহমান সেমিনারকক্ষে বিকেল ৪টায় সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।