গজারিয়ার মেঘনা নদীতে মিলল নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জনের মরদেহ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়-
০১:৪১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
১৯০
বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিবেদক।।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা নদী থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি নিখোঁজ সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্বজনেরা।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল পৌনে চারটার দিকে গজারিয়ার বলাকির চর এলাকার মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় একটি লাশ উদ্ধার করেছেন নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। পরে সন্ধ্যার দিকে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো। সেখানে বিভুরঞ্জনের ছেলে ঋত সরকার ও ভাই চিররঞ্জন সরকার শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত পৌনে নয়টার দিকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে গিয়ে লাশটি শনাক্ত করেন।
৭১ বছর বয়সী বিভুরঞ্জন সরকার দৈনিক আজকের পত্রিকায় জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে বেরোনোর পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তার নিখোঁজ হওয়ার কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানায় জিডি করেছিল পরিবার।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বিভুরঞ্জন সরকার বৃহস্পতিবার আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীর বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হন। এর কিছুক্ষণ আগে সকাল সোয়া ৯টায় তিনি দৈনিক আজকের পত্রিকার জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক হিসেবে একটি লেখা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ইমেইল করেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তিনি ভুলে তার ব্যবহত মোবাইল ফোনটিও রেখে যান। রাতেও তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা আজকের পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, তিনি অফিসেই যাননি।
এরপর বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ছেলে ঋত সরকার বাবার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তথ্য জানিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে রমনা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এ ঘটনা ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাসুদ আলম জানান, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে বিভুরঞ্জন সরকার মালিবাগের ফরচুন মার্কেটের সামনে থেকে একটি বাইকে উঠেছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাইকটি পেলেই অনেক রহস্য উদ্ঘাটন করা সহজ হবে।’ এই ঘটনার তদন্ত চলছে এবং মরদেহ উদ্ধারের পর নতুন করে তদন্তের গতি প্রকৃতি ঠিক করা হবে বলে তিনি জানান।
নিউজটি শেয়ার করুন..