
- আপডেট সময়- ০৬:১১:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম এলাকাসহ বিভিন্ন অলি-গলিতে ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ ঔষধের ফার্মেসী।
বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ শহরের সবচেয়ে বড় সরকারি ৫’শ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল ও নিতাইগঞ্জস্থ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের আশপাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ ফার্মেসী, ক্লিনিক, প্রাইভেট হাসপাতালে ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সরেজমিনে দেখা যায়, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের নেই কোনো পর্যাপ্ত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
এসব ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসা নিতে আগত রোগীরা জানান, যেখানে ২৪ ঘন্টা ডিউটি ডাক্তার থাকার কথা সেখানে নেই ডাক্তার, এমনকি নেই ডিপ্লোমা পাশ করা নার্স, মুমূর্ষু রোগীকে সাপোট দেওয়ার মতো নেই কোন প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতী সহ মানসম্মত পরিবেশ। অদক্ষ নার্স ও হাতুড়ি ডাক্তার দিয়ে ছলচাতুরী মাধ্যমে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ফলে প্রায়শই দেখা যায় রোগীর মৃত্যুজনিত ঝুঁকি সম্মুখিন হয়। অনেক ক্ষেত্রে অকালে ঝড়ে যায় বহু তাজা প্রান।
অপরদিকে দেখা যায় বড় বড় ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোতে নেই কোন অভিজ্ঞ টেকনোলজিষ্ট, রেডিওলজিষ্ট, আল্ট্রাসনোগ্রাফী সহ প্রয়োজনীয় মেশিনারিজ ও টেকনিশিয়ান। অনেকক্ক্ষএে দেখায় যায় ভূূয়া রিপোর্ট তৈরি করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছে।
অপরদিকে হাসপাতাল এলাকা কেন্দ্রিক ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ঔষধ ফার্মেসী, খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এরা দালালের দৌরাত্মের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের ভোগান্তিতে ফেলছে, এসব ফার্মেসী নেই কোনো দক্ষ ফার্মাসিস্ট চিকিৎসা পত্রে লেখা এক ঔষধের বিপরীতে অন্য ঔষধ দিয়ে রোগীদের মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিচ্ছে, এসব ফার্মেসীগুলোতে মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধের পাশাপাশি যৌন উত্তেযক ঔষধ, নেশার টেবলেট, সিরাপ ও প্যাথেডিনের মতো ভয়াবহ নেশাদ্রব্য অবাধ বিক্রি হচ্ছে।
এসব ফার্মেসী গুলোতে নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ট্রেড লাইসেন্স, ড্রাগ লাইসেন্স সহ ফামাসিষ্ট সনদ। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কাগজ থাকলেও অবাধে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদাতীর্ন ঔষধ, যৌন উত্তেজক টেবলেট ও নেশাজাত দ্রব্য।
ঐ সকল প্রতিষ্ঠানগুলো উভয় হাসপাতালের বহিরাগত দালালদের সুবাদে মালিকপক্ষরা আজ পোয়াবারো। বহিরাগত দালাল হাসপাতালের জরুরী বিভিগ সহ বহিবিভাগে রোগী বাঘিয়ে নেওয়ার জন্য চষে বেড়ায়। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সু – চিকিৎসার কথা বলে রোগী বাঘিয়ে নিয়ে যায় বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। এতে করে নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ আশ পাশের জেলা হতে আগত রোগীরা সু- চিকিৎসা নিতে এসে দালালদের খপ্পরে পড়ে সবশান্ত হচ্ছেন। এমনকি কতিপয় চিকিৎসকদের নিদিষ্ট দালাল দিয়ে প্রতিনিয়ত হাসপাতাল থেকে রোগী বাঘিয়ে নেওয়ার ঘটনা ও রয়েছে উল্লেখযোগ্য। তাই রোগীরা যেন সঠিক চিকিৎসা পান সে লক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সাজন, ড্রাগসুপার, উভয় হাসপাতালের তও্বাবধায়ক সহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী রোগী সহ সচেতন মহল।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ