সুন্দরবনে ৭ জেলে অপহরণ,মুক্তিপন দাবি জলদস্যুদের

- আপডেট সময়- ০৫:৫৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
খুলনা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী থেকে সাতজন জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপন দাবি করেছে জলদস্যুরা।
গত সোমবার (২৫ আগস্ট) ও মঙ্গলবার এই অপহরণের ঘটনা ঘটে।
অপহৃত জেলেরা হলেন—মীরগাং গ্রামের সাকাত সরদারের ছেলে মো. ইবরাহিম, পারশেখালী গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুল হামিদ, টেংরাখালী গ্রামের সুসুজন মুন্ডার ছেলে সুজিত এবং কালিঞ্চি গ্রামের কেনা গাজীর ছেলে রকিবুল ইসলামসহ আরও তিনজন।
ফেরত আসা জেলেদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও ১ সেপ্টেম্বর থেকে পূনরায় মাছ ধরার মৌসুম শুরু হবে। এ লক্ষ্যে জেলেরা দাড়গাং নদী-সংলগ্ন খালে নৌকা ও জাল মেরামতের কাজ করছিলেন। এ সময় ছয়-সাতজনের একদল জলদস্যু দুই দফায় হামলা চালিয়ে সাতজন জেলেকে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ লালটু বলেন, জলদস্যুরা নিজেদের ‘কাজল বাহিনী’ পরিচয়ে মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি জন্য ইতোমধ্যে ২৫-৩০ হাজার টাকার বাজার করে পাঠিয়েছে জলদস্যুদের জন্য।
পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. ফজলুল হক বলেন, বর্তমানে সুন্দরবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবদ রয়েছে। তবে আগামি ১ সেপ্টেম্বর থেকে অনুমতি নিয়ে জেলেরা মাছ ধরতে পারবেন। তিনি দাবি করেন, বন-সংলগ্ন খালে নৌকা প্রস্তুতের সময় কয়েক জেলে অপহৃত হয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মোল্লা বলেন, জেলে অপহরণের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। জলদস্যুদের সহযোগিতা কিংবা তাদের জন্য বাজার করে পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ