সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ইসলাম ও জীবন, ঈশ্বরদী, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পাবনা, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ
পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রমের দিকে

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১২:১২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫ ৫৬ বার পড়া হয়েছে

মামুনুর রহমান, ঈশ্বরদী, পাবনা:
কয়েক দিন টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারতের উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মার পানি প্রতিদিন হু হু করে বেড়েই চলেছে। গত বুধবার (১৩ আগস্ট) পাকশী হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পানির উচ্চতা পরিমাপ করা হয় ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। আর মাত্র এক মিটার অর্থাৎ ১৩ দশমিক ৮০ উচ্চতা হলে পদ্মার পানি হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।
এদিকে, নদী রক্ষা বাঁধ উপচে পানি উপজেলার ধাপাড়ী, আরামবাড়িয়া, ইসলামপুরসহ নদী তীরবর্তী গ্রামে প্রবেশের উপক্রম হয়েছে। নদী তীরবর্তী ফসলি জমিতে পানি উঠে গেছে।
উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নে শত শত একর জমির কলাবাগান এখন পানির নিচে। এখানকার শাক-সবজির জমিতে পানি উঠতে শুরু করেছে। ফলে এখানকার ফসল নষ্ট হতে শুরু হয়েছে। চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চরে গোখাদ্যের অভাবে গবাদিপশু নিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। চরের গরু-মহিষের বাথান ভেঙে গরু-মহিষ নিয়ে সবাই চলে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকালে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১৫ গাডারের মধ্যে ১৪টি গাডার পানির নিচে আরেকটি গাডারের কাছে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বাড়ার গতি এভাবে অব্যাহত থাকলে আজ রাতের মধ্যে ১৫ নম্বর গাডারের নিকট পানি পৌছে যাবে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে অস্থায়ীভাবে গড়ে উঠা টি স্টল, খাবার দোকান, ফলমূল ও খেলনার দোকানে পানি উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দোকান সরিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচের ফুচকা বিক্রেতা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘যেখানে আমার ফুচকার দোকান ছিল সেখানে পানি উঠে গেছে। এজন্য দোকান সরিয়ে নিয়েছি। যারা ব্রিজের নিচে বেড়াতে আসতো তারা আসতে পারছে না। যেভাবে পানি বাড়ছে তাতে দুই একদিনের মধ্যে পুরো হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পানি চলে আসবে।’
আবুল হোসেন নামে এক দর্শনার্থী বলেন, ‘দুই মাস আগে এসে দেখেছিলাম নদীতে পানি নেই বললেই চলে। নদীজুড়ে চর ছিল। আজ দেখছি নদী ভরে গেছে। অনেকেই দোকানপাট সরিয়ে নিচ্ছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সব দোকানপাট তলিয়ে যাবে।’ হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে কর্মরত পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (রিডার) হারিফুন নাঈম ইবনে সালাম বলেন, ‘বুধবার (১৩ আগস্ট) হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে সকাল ৯টায় পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। গতকাল পানির উচ্চতা ছিল ছিল ১২ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার। প্রতিদিন গড়ে পানির উচ্চতা বাড়ছে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।
নিউজটি শেয়ার করুন..
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ