শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

- আপডেট সময়- ০১:১৭:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

মোঃ কামরুল ইসলাম টিটু, শরণখোলা প্রতিনিধি।।
বাগেরহাটের শরণখোলায় বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন কে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আঞ্জুমান আরা আলো সম্পাদক প্রার্থী বেলাল হোসেন মিলন ও সাংগঠনিক পদপ্রার্থী শামীম আহমেদ বাদলের বিরুদ্ধে সভাপতি প্রার্থী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা, বানোয়াট ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় তার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৬ জুলাই দুপুর ১২ টায় উপজেলার পাঁচ রাস্তার মোড়ে আল আরাফা ব্যাংকের নিচ তলায় বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় লিখিত অভিযোগে উপজেলা বিএনপি সভাপতি প্রার্থী আঞ্জুমান আর আলো বলেন, গত ২ জুলাই বুধবার বিএনপি’র কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত অসংগঠনিক, মিথ্যা, বানোয়াট ওমনগড়া তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের হেয় প্রতিপন্য করেছেন। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আঞ্জুমান আরা আলো আরও বলেন, তার চাচা যুদ্ধকালীন ৯ নং সাব সেক্টরের সেকেন্ড ইন কমান বাগেরহাট জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার তাকে পড়াশোনা করার উদ্দেশ্যে শরণখোলা নিয়ে আসে। পরে ১৯৮১ সালে খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিউর রহমানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তারপর থেকে তিনি স্বামীর পাশে থেকে বিএনপি রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তার বাড়িতে অনেকবার হামলা হয়েছে। তার স্বামী খান মতিয়ার রহমানের বিরুদ্ধে অনেকগুলি নাশকতার মামলা হয়েছে যা অন্য কোন নেতার বিরুদ্ধে হয়নি। স্বৈরাচারী এরশাদ ও আওয়ামী ফেসিস্ট সরকার বিরোধী সকল আন্দোলনে সংগ্রামে নেতাকর্মীদের নিয়ে তার স্বামী মতিয় রহমান অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি দাবি করেন শরণখোলা উপজেলায় তার পরিবারের চেয়ে বেশি অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার কেউ হয় নাই।
তিনি আরো বলেন তার প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী বেলাল হোসেন মিলন ছাত্রদলের শরণখোলা উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি। ফ্যাসিস সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে দশটিরও বেশি মিথ্যা নাশকতার মামলা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর ২০২৪ বিএনপির সমাবেশ থেকে ডিবি পুলিশ তাকে নিয়ে আটক করে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তন না হলে হয়তো তাকে জেলে পস্তাতে হতো। তার বিরুদ্ধেও আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েতের বিস্তার অভিযোগ তুলেন যা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। অন্যদিকে তার প্যানেলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমেদ বাদল একজন কলেজ শিক্ষক। তিনি বিএনপির একজন পরীক্ষিত কর্মী, দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত তাকে নিয়েও তিনি উল্টাপাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করেছেন। আগামী ১৩ ই জুলাই বিএনপির কাউন্সিলে তাদের প্যানেলে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ