গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময়- ০৫:৫৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫ ৯১ বার পড়া হয়েছে

গাজীপুর প্রতিনিধি।।
ব্র্যাক পরিচালিত ‘শিখা’ প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এক কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই)সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জনাব নূর-ই-জান্নাত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বালীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ শামসুল হক।
কর্মপরিকল্পনা সভার অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণে একটি ফোকাল গ্রুপ ডিসকাশন (FGD) অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের মতামত, অভিজ্ঞতা ও প্রস্তাবনার মাধ্যমে যৌন হয়রানি ও বুলিং প্রতিরোধে গঠনমূলক আলোচনা হয়, যা প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বক্তব্য প্রদানকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতার ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, “এ ধরনের প্রকল্প শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, সমাজের প্রতিটি স্তরে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।”
প্রকল্পের সার্বিক দিক তুলে ধরেন ব্র্যাক ‘শিখা’ প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার মোঃ আরিফ রাব্বানী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের স্বেচ্ছাসেবক খাইরুন্নাহান, নাজমুল ইসলাম ও অন্যান্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
‘শিখা’ প্রকল্পটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো “প্রতিরোধ এবং সহায়তা ব্যবস্থা জোরদারের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, পাবলিক প্লেস ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারী ও মেয়ে শিশুদের প্রতি জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও প্রতিকার নিশ্চিত করা।”
প্রকল্পটি গাজীপুরসহ ছয়টি জেলায় (রাজশাহী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম) বাস্তবায়িত হবে। এর আওতায় ২৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়, তৈরি পোশাক কারখানা, গণপরিবহন, কমিউনিটি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সভায় উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যৌন হয়রানি, বুলিং ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। গবেষণালব্ধ তথ্য ও স্থানীয় বাস্তবতার আলোকে একটি বাস্তবভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
এ প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ ও সহায়তা কাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাজীপুর জেলায় চার বছরে ৫৫টি স্কুল ও মাদ্রাসায় এই কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ