নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জোড়া খুন

- আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ৮৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে ছেলের ওপর প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে আবদুল কুদ্দুস (৫৯) নামে এক ব্যক্তিকে।
শনিবার (২১ জুন) রাত ৮টার দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের শাহী মসজিদ হাফেজিবাগ এলাকায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। জানা গেছে, নিহত কুদ্দুস একই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা এবং রনি-জাফর গ্রুপের সদস্য পারভেজের বাবা।
স্থানীয় সূত্র মতে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় আধিপত্য, মাদক নিয়ন্ত্রণ ও বন্দর বাসস্ট্যান্ডের অটোরিকশা স্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপ বাবু-মেহেদী ও রনি-জাফর গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা চলে আসছিলো।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে ফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দুইটি গ্রুপ বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকারের অনুসারী হলেও সংঘর্ষে তিনি বাবু-মেহেদী গ্রুপের পক্ষ নিয়েছিলেন। রনি-জাফর গ্রুপের সদস্য পারভেজের বাবা আবদুল কুদ্দুস চা খেতে বন্দর স্ট্যান্ডে গেলে তাকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এসময় ছেলেকে না পেয়ে প্রতিপক্ষের গ্রুপ পারভেজের বাবাকে হত্যা করে বলে স্থানীয়রা জানান।পরবর্তীতে উত্তেজিত জনতা প্রতিপক্ষের অভিযুক্ত মেহেদীকে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলে সেও মৃত্যু বরন করে।
রনি-জাফর গ্রুপের নেতা জাফর বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশার একজন কর্মী। বাবু-মেহেদী গ্রুপ আশার নাম ভাঙিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি করে। আমি এর প্রতিবাদ করায় হান্নান সরকারের নির্দেশে তারা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় পারভেজের বাবাকে হত্যা করেছে।খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত মেহেদীকে গনধোলাই দিয়ে হত্যা করে।
ঘটনার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাত ১১টার দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম বলেন, পূর্ব বিরোধ ও প্রতিশোধের জেরে কুদ্দুসকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ