না’গঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক-ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ

- আপডেট সময়- ০৬:০২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫ ১২৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত, সমাজে ভালো মানুষ ও ভালো কাজের গুরুত্ব তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা। একইসঙ্গে মাদক, ছিনতাই ও ডাকাতির মতো অপরাধ দমনে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর জোর দেয়ার কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে জেলা প্রশাসকের(ডিসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
সভায় জেলা প্রশাসক(ডিসি) বলেন, সমাজে অনেক ভালো মানুষ আছে, কিন্তু আমরা তাদের কথা কখনোই বলি না। এজন্য মানুষ ভাবে ভালো কাজ করলে কোনো সম্মান নেই। যারা ভালো কাজ করেন, তাদের যদি বোকা বা বেকুব বলা হয়, তাহলে ভালো কাজের অনুপ্রেরণা অনেকাংশে কমে যাবে।এ সমাজটা একা কারো নয়, সবাইকে নিয়েই সমাজ,এ বিষয়টা আমাদের সকলকেই বুঝতে হবে।
ডিসি আরও বলেন, এ জেলায় মাদক আমাদের একটা বড় চ্যালেঞ্জ। মাদকের বিরুদ্ধে সবাই সোচ্ছার না হলে মাদকমুক্ত সমাজ গড়া সম্ভব নয়। আমাদের প্রত্যেকের এই সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
সভায় উপস্থিত নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) তাসমিন আক্তার বলেন, জেলায় চুরি ও ছিনতাই অনেক বেড়েছে। ২৪ ঘণ্টায় আমাদর ৬৮টি টহল টিম কাজ করছে। তারপরও চুরি ও ছিনতাই রোধ কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ অধিকাংশ অপরাধী ভাসমান। তারা অপরাধ করে দ্রুত স্থান ত্যাগ করছে।
রূপগঞ্জ উপজেলার সাম্প্রতিক গোলাগুলি ও সংঘর্ষ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গোলাগুলির ঘটনার পেছনে স্থানীয়ভাবে তথ্য পাচার হচ্ছে। অপরাধীরা সুযোগ বুঝে এসে গোলাগুলি করে পালিয়ে যাচ্ছে। ডিবি পুলিশ রূপগঞ্জে অভিযান ও মহড়া দিচ্ছে।
আড়াইহাজারে ডাকাতির পরিস্থিতি নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রাতে আমাদের ৭টি টহল টিম কাজ করছে এবং অতিরিক্ত ফোর্সও মোতায়েন রয়েছে। তবে সেখানকার কিছু এলাকা এতটাই ভিতরে যে সেখানে হেঁটে যেতে হয়, ফলে সেখানে ডাকাতির ঘটনা বেশি ঘটে থাকে।গত মাসে একটি ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আড়াইহাজারের দু’টি ইউনিয়নের ঘরে ঘরে ডাকাতির সদস্য রয়েছে এবং এটি বংশগতভাবে চলে আসছে। বাবা, দাদা, ছেলে সবাই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তারা অত্যন্ত প্রফেশনাল। আটক করলেও জামিনে বের হয়ে আবার একই কাজে জড়িয়ে পড়ে। তিনটি জেলা থেকে ডাকাতরা আসে, স্থানীয়দের সহায়তায় ডাকাতি করে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে নজরদারি জরুরি।
আইনশৃঙ্খলা সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) নিলুফা ইয়াসমিন, ৩’শ শয্যা নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবুল বাসার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, সোনারগাঁ ইউএনও ফারজানা রহমান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলা কমান্ড্যান্ট কানিজ ফারজানা শান্তা, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জহিরুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ