সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, কলকাতা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, ফিচার, বাংলাদেশ
চীনে রহস্যময় সুড়ঙ্গ আবিষ্কার; বিজ্ঞানীদের ধারনা ভিন্ন জগতের রাস্তা

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২২:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়।।
ভিন্ন গ্রহ, ভিন্ন উপগ্রহ নিয়ে মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা বহুকালের। মঙ্গল গ্রহ, চাঁদ নিয়ে বিজ্ঞানীরা একের পর এক উপগ্রহ পাঠিয়ে মঙ্গল গ্রহ এবং চাঁদে প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে বহু তথ্য হাজির করেছেন। কিন্তু তার অনেক আগে থেকেই ভিন্ন গ্রহ থেকে এলিয়েনের পৃথিবীতে আসার বহু কাহিনী প্রচলিত রয়েছে। এই সব মুখরোচক কাহিনী অবলম্বনে ” কোই মিল গয়া” নামে একটি হিন্দি সিনেমা বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। বিশেষ করে ছোটদের মধ্যে। ছবিটিতে স্বনাম ধন্য অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে ঋত্বিক রোশনও অসাধারণ অভিনয় করেছেন। অবিস্মরণীয় ভাবে এক আলিয়েনকে হাজির করে সুন্দর কাহিনী উপহার দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝেই সংবাদপত্রে শীঘ্র মঙ্গল গ্রহ থেকে এলিয়েন পৃথিবীতে আসার সম্ভাবনা ব্যক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে এক চমকপ্রদ সংবাদ সামনে এসেছে।
আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনে গভীর ও দুর্গম জঙ্গলে বেশ কয়েকটি বিশাল সুড়ঙ্গের আবিষ্কার হয়েছে।
আমাদের এই বিশালাকার পৃথিবীর মধ্যের কতটুকুই বা আমরা জানতে পেরেছি!আমরা অনেকেই ভাবি মানুষ হলো “সবজান্তা”। কিন্তু আসলেই কি তাই? আমরা কি আদৌ এই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের বিপুল রহস্যের সিকিভাগও জানতে পারিনি। হিসেব মতো পৃথিবীতে তিন ভাগ জল এক ভাগ স্থল। যার মধ্যে বেশিরভাগটাই মানুষের আবিষ্কার করা হয়ে গেছে। অনেক দুর্ভেদ্য জঙ্গলের ভেতরেও পা রেখেছে মানুষ। কিন্তু যদি হঠাৎই এমন কোন কিছুর হদিস পাওয়া যায় যা জানতে পারলে চোখ কপালে উঠবে বিজ্ঞানীদেরও তাহলে কেমন হয়? এমনই এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটেছে ভারতের প্রতিবেশী দেশ চিনে।
চিনে এক বিশালাকার জঙ্গলের মধ্যে আবিষ্কার হয়েছে এক বিশাল আকার গর্ত যার মধ্যে ঢোকে না সূর্যের আলোও। সেখানে এক বিজ্ঞানীর দল অভিযান চালিয়ে হদিস পান এক অন্য জগতে যাওয়ার রাস্তার। চিনা এক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, চিনের লেক কাউন্টিং নামক এক জঙ্গলে দেখা মিলেছে বহু বিশালাকার গর্তের। যার মধ্যে সবচেয়ে গভীর গর্তটির গভীরতা প্রায় ৬৩০ ফুট। সেই অঞ্চলের স্থানীয় অধিবাসীরা এই গর্তের নামকরণ করেছেন ” সেনোইং তীয়ানচেং”। স্থানীয় সেই অধিবাসীদের বিশ্বাস এই গর্ত আসলে অনন্ত যার গভীরতা খুঁজে পাওয়া খুব মুশকিল। এবং এই গর্তই পৃথিবীর সাথে অন্য এক রহস্যময় জগতের সংযোগ ঘটিয়েছে।
তবে বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণা চালাতে অভিযান চালিয়েছেন গর্তের ভেতর। অভিযান শুরু হয়েছে চলতি বছরের মে মাস থেকে। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, গর্ত গুলির মুখ বিশালাকৃতি বৃক্ষের দ্বারা এমনভাবেই আড়াল করা রয়েছে যে সেই গর্তের ভিতর সূর্যের আলো কোনমতে ছিটেফোঁটাও প্রবেশ করতে পারে না। সেই গর্তের ভেতর দেখা মিলেছে বহু চেনা-অচেনা প্রজাতির ছোট বড় উদ্ভিদের। বিজ্ঞানীদের ধারণা সেই গর্তগুলিতে আগে ছিল জলস্রোত কিন্তু বর্তমানে যে কোন কারনেই হোক সেই জলস্রোতের খোঁজ মেলেনি।বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গবেষণা চলছে এবং আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি গর্তগুলি সম্পর্কে অজানা সমস্ত রহস্য উদঘাটিত হবে।
গবেষণার কাজের জন্যই এই গর্ত গুলির বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও করা হয়েছিল সেই গবেষক দলের তরফ থেকে। তবে সেই ভিডিওগুলিতে বা ছবিগুলিতে সন্দেহজনক কোন কিছুই চোখে পড়েনি তাদের।এখনো পর্যন্ত সেই দুর্ভেদ্য জঙ্গলে মোট ৩০ টি গর্তের সন্ধান মিলেছে।
এই সুড়ঙ্গ তথা গর্ত নিয়ে স্থানীয় মানুষেরা উৎসাহী। তাদের ধারণা, এই গর্তগুলো মঙ্গল গ্রহের সঙ্গেও যুক্ত হতে পারে। সেটা হলে চিন ভিন্ন জগতের সঙ্গে সবচেয়ে আগে সম্পর্ক গড়ার পথে এগিয়ে থাকবে বলে চিনা নেতারাও উৎসাহী।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ