প্রতিহিংসা নয়,ভালোবাসা দিয়ে না’গঞ্জের মানুষের মন জয় করতে চাই: মাসুদুজ্জামান

- আপডেট সময়- ০৬:৪৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

বিএনপির প্রার্থী হিসেবেই মাসুদুজ্জামানকে চান নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণ ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা..!
বিশেষ প্রতিবেদক।।
নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সমাজের পরিচিত মুখ আলোচিত ক্রীড়া সংগঠক ও সমাজসেবক মাসুদুজ্জামান মাসুদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাড়া দিয়ে জনতার স্রোতে পরিনত হয়ে উঠেছে এ মিলন মেলা। এ যেন এক জনসমুদ্র, শহরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, নাগরিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এতে অংশ গ্রহন করেন।
বিশেষ করে বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি কানায় কানায় ভরপুর ছিল এ আয়োজনের পুরো সময় ঘিরে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরের ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন এ ঈদ পূর্ণ মিলনী আয়োজনে। এ সময় সমাজের বিভিন্ন মহলের বিশিষ্টজনদের মিলনমেলায় জনসমুদ্রে পরিণত হয় শহরের বরফকল এলাকায় অবস্থিত বিআইডব্লিউটিএ’র মাঠ প্রাঙ্গণ।
ঈদুল আযহা পরবর্তী এই অনুষ্ঠানে আসা বিএনপির তৃণমূলের নেতারা তাদের বক্তব্যে সাবেক যুবদল নেতা মাসুদুজ্জামান মাসুদকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলেও জোড় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তারা বলছেন, “এ অনাড়ম্বর জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, একাধারে সমাজসেবক মানব দরদী মানবতার ফেরিওয়ালা মাসুদুজ্জামান, তিনি একজন পরীক্ষিত সমাজসেবক জনদরদী। তিনি গোপনে অন্তরালে থেকেও মানবতার সেবায় সবসময় নিয়োজিত থেকে অনন্য নিদর্শন।
একজন মানবিক মানুষ ও পরীক্ষিত-যোদ্ধা হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি আমাদের প্রাণের নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে। তিনি নারায়ণগঞ্জকে বদলে দিয়ে নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।”
মাসুদুজ্জামানের সুদৃঢ় নেতৃত্বে সামনের নারায়ণগঞ্জ জনমানুষের এবং জনবান্ধব হবেন বলে প্রত্যশা ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মাসুদুজ্জামানও বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জের জনপ্রত্যাশা পূরণে কাজ করে যাব। নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল নতুন নারায়ণগঞ্জ গড়তে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে চাই।
তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ যদি আমাকে সুযোগ দেয়, তবে আমি তাদের সেবা করতে চাই। নারায়ণগঞ্জের সন্তান হিসাবে আমি স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ে তোলার। সেই লক্ষে কাজ করতে চাই।”
পাশাপাশি ‘নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ছিল’- উল্লেখ করে বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসের হাতে জিম্মি ছিলাম। এদের হাত থেকে নারায়ণগঞ্জবাসীকে মুক্ত করতে চাই। আমি কোনোদিন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেইনি। আমি প্রতিহিংসা নয়, ভালোবাসা দিয়ে মানুষের মন জয় করতে চাই।”
পোশাক কারখানা মডেল ডি ক্যাপিটালের কর্ণধার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামান বলেন, “আপনারা জানেন, আমি একজন সমাজকর্মী, ক্রীড়া সংগঠক। সমাজের মানুষের সেবা করা আমার নেশা। বছরজুড়ে আমি গোপনে এবং প্রকাশ্যে নিরীহ হতদরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। আগামীতেও এভাবে পাশে থাকবো।”, “আমার কোনো সন্ত্রাসী বা চাঁদাবাজ বাহিনী নাই। রাজনীতিতে আলোচনা, সমালোচনা এবং মত-দ্বিমত থাকবেই। এসব না থাকলে মানুষ কখনো শোধরাতে পারে না। আমি সমালোচকদের সাধুবাদ জানাই, তারা যেন আমাকে সঠিক পথে চলতে সহযোগিতা করেন।”
এ সময় ঈদ পূর্ণ মিলনী আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নূর ইসলাম সরদার, শহর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, মহানগর যুুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু, সাবেক কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সাবেক কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরুন্নাহার, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরুন্নাহার বেগম, সাবেক সহসভাপতি রোজিনা বেগম, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ঢলি আহমেদ, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ফারুক হোসেন, শহীদুল ইসলাম রিপন, মনোয়ার হোসেন সুখন, মহানগর শ্রমিক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মল্লিক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক, সদর থানা স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মিয়াজি, কৃষকদলের ১২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. জসিম, মহিলা দল নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, জহুরা খাতুন প্রমুখ।
এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সহসভাপতি বিল্লাল হোসেন রবিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, আমলাপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হানিফ সরদার, ন্যাপের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর শাখার সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব, নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দিপু, খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক প্রমুখ।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ