পুলিশের মামলায় বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা রিয়াদ চৌধুরী শ্রীঘরে

- আপডেট সময়- ০৪:৪৩:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ ৯০ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি।।
পুলিশের দায়ের করা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলায় বহিষ্কৃত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
এর আগে গতকাল সকাল নয়টার দিকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পার করার সময় রিয়াদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। তিনি মূলত গ্রেপ্তার এড়াতে থাইল্যান্ডে পালাচ্ছিলেন।
তার গ্রেপ্তারের খবরটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তাকে বহিষ্কারের বিষয়ে দলটির অফিসিয়াল পেজে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। এসময় তার নিজ স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপ’র জন্য তাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থপকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসপি প্রত্যুষ বলেন, তার বিরুদ্ধে “চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠার পর গ্রেপ্তার এড়াতে থাইল্যান্ড পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ থেকে বিমানবন্দরে এ বিষয়ে অবগত করা হলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে হেফাজতে নেয় জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর দু’দিন আগে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক পোশাক কারখানার মালিককে ‘হুমকি প্রদানের’ একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও রিয়াদকে গ্রেপ্তারের পর বৃহস্পতিবারের বিকেলে আদালত চত্বরে ওই ব্যবসায়ী আজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রিয়াদ আমার ভাগ্নে, তার সাথে পুরো বিষয়টিই আমাদের পারিবারিক। যে অডিও ক্লিপটি ভাইরাল হয়েছে সেটি বেশকিছু অংশ এআই (আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স) দিয়ে তৈরি। রিয়াদ আমাকে কোনো হুমকি দেয়নি, আমার কোনো অভিযোগ নেই।
এসময় তার বক্তব্য জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানিয়েছেন বলে জানান পোশাক ব্যবসায়ী আজাদ।
এদিকে, রাত আটটার দিকে এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার মুঠোফোন বলেন, পোশাক কারখানা পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ করেছিলেন এক ব্যবসায়ী। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কিন্তু কোনো এক রহস্যময় কারণে তিনি আর মামলা করতে রাজি হননি। ফলে ওই অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি ফতুল্লা মডেল থানায় রুজু হয়। মূলত এ মামলায় রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীকেই আসামি করা হয়েছে বলেও জানান জেলা পুলিশ সুপার(এসপি)। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ