কুতুবপুরে মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ২০ দিনেও মামলা নেয়নি পুলিশ

- আপডেট সময়- ০৪:৫৮:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে

ফতুল্লা প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া আপ্যায়ন কমিটি সেন্টার সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের পরিবারের উপরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছেন আওয়ামী লীগের দোষর রতন বাহিনী। এই ঘটনার বিশ দিন পেরিয়ে গেল ফতুল্লা থানায় মামলার এজাহার দিলেও কোন প্রকার তোয়াক্কা না করে পুরো উল্টে পুলিশ বাদীর বিপক্ষে নানাভাবে হয়রানি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভুগি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। নিচে বাদী লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়।
আমি- মোসাঃ এমিলি (৪০), স্বামী- বীর মুক্তিযেদ্ধা মৃত শামসুল হক খান, সাং- দেলপাড়া বাজার, আপ্যায়ন কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন, পোঃ কুতুবপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, জাতীয়পরিচয়পত্র নং- ৯১৩৭৪৮০১৫৯। থানায় আসিয়া বিবাদী- ১। রতন (৪০), পিতা- মৃত নুরুল ইসলাম, সাং- দেলপাড়া খালপাড়া, জামাই পাড়া, ২। নুর জাহান বেগম স্বপ্না (৪৫), স্বামী: মৃত ইব্রাহিম খান, ৩। মোঃ শামীম খান (৩৩), পিতা- মৃত ইব্রাহিম খান, ৪। মোঃ ইউনুস (৫০), পিতা- মৃত মহিউদ্দিন খান, ৫। আবুল কালাম (৫০), পিতা- অজ্ঞাত, সর্ব সাং- দেলপাড়া বাজার, আপ্যায়ন কমিউনিটি সেন্টারের পশ্চিম পাশে,
৬। ডেইজি (৪০), স্বামী- দিপু, দেলপাড়া কবরস্থান সংলগ্ন, ৭। মোঃ রকিব (৩০), পিতা- অজ্ঞাত, সাং- পূর্ব দেলপাড়া, সর্ব থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, উল্লেখিত বিবাদীরা আমার প্রতিবেশী। বিবাদীরা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন। আমাদের বাড়ির পাশে বিবাদীদের জমি থাকায় তাহাদের সহিত পূর্ব থেকেই জমি-জমা নিয়া আমাদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। গত ইং ০১/০৫/২০২৫ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার সময় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন আমাদের ফতুল্লা থানাধীধন দেলপাড়া বাজার সাকিনস্থ নিজ বাড়ির সামনের গলির রাস্তা অবস্থানকালে উল্লেখিত সকল বিবাদীরা জমি-জমার পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্যে সাধনকল্পে দেশীয় ধারালো চাপাতি, লোহার রড,
পাইপ সহ বিভিন্ন লাঠি সোঠা সহ আরো বিভিন্ন শস্ত্রে সজ্জিত হইয়া অতর্কিতভাবে আমি সহ আমার পরিবারের ওপরে হামলা শুরু করে। ২নং বিবাদী নুরজাহান বেগম স্বপ্নার নির্দেশে ১নং বিবাদী রতন তাহার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়া আমার দেবর- মোঃ নুরুজ্জামান (৬০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ দিলে আমার দেবর তাহার দুই হাত দিয়া ঠোকাইলে উক্ত কোপ আমার দেবরের ডান হাতের অনামিকা আঙ্গুলে লাগিয়া মারাত্মক কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।
আমার দেবরের ডাক-চিৎকারে আমার চাচি শাশুড়ি- শাহিদা আক্তার (৫৫), স্বামী: মো: জুলহাস, সাং- দেলপাড়া, থানা: ফতুল্লা, জেলা: নারায়ণগঞ্জ আগাইয়া আসিলে ৩, ৪ ও ৫নং বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা লোহার রড ও পাইপ দিয়া এলোপাথারীভাবে পিটাইয়া আমার চাচি শাশুড়ীর কোমড়ের বাম পার্শ্বের হাড় ভাঙ্গিয়া ফেলে। ইহাতে আমার চাচি শ্বাশুড়ি সাথে মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে তাহার ডাক-চিৎকারে আমি, আমার ছোট জ্যা- সাদিয়া আক্তার (৩৫), দেবরের মেয়ে- রত্না (৩৩)গণ আগাইয়া আসিলে, উল্লেখিত ২, ৬ ও ৭নং বিবাদীরা সহ অপরাপর অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা ও বিভিন্ন লাঠি সোঠা দিয়া এলোপাথারীভাবে আমাকে, সাদিয়াকে ও রত্নাকে আঘাত করিয়া আমাদের মাথা, হাত, পা, পিঠ কোমড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফোলা জখম করে।
ঘটনার সময় ২নং বিবাদী নুরজাহান বেগম স্বপ্না আমার গলায় থাকা ০১ (এক) ভরি ওজনের স্বর্ণের মোটা চেইনখানা নিয়া যায়, যাহার মূল্য ১,৫০,০০০/- (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। আমাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা আগাইয়া আসিতে থাকিলে উল্লেখিত বিবাদীরা আমাকে ও আমার দেবর নুরুজ্জামান সহ পরিবারের সকলকে খুন-জখম করিয়া লাশ গুম করার হুমকি দিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীদের সহায়তায় আমরা সকলেই ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর জেনারেল হাসপাতাল, নারায়ণগঞ্জ-এ নিয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বর্তমানে চাচি শাশুড়ি ও দেবর চিকিৎসাধীন আছে। আমরা সকলেই চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।
উক্ত ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ফতুল্লা মডেল থানার ওসির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবার।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ