সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, ক্যাম্পাস নিউজ, গণমাধ্যম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, বাউফল, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, শিক্ষাঙ্গন
বাউফলে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩০:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফলে একটি দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,উপজেলার ধানদি কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে চলতি বছর ৫টি মাদ্রাসার মোট ২৬৩ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় প্রতিটি কক্ষে মৌলভী শিক্ষককে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় পরীক্ষার্থীদের। এরআগে বৃহস্পতিবার কুরআন মজিদ বিষয়ের পরীক্ষায় প্রত্যেক কক্ষে ১ জন মৌলভীকে পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়মানুযায়ী আরবী বিষয়ের পরীক্ষা সাধারণ বিষয়ের শিক্ষক আর সাধারণ বিষয়ের পরীক্ষায় আরবী বিষয়ের শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করবেন। নিয়ম ভেঙে এভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় অন্যান্য পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নওমালা ও কনকদিয়া দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের দুই পরিদর্শক বলেন,ধানদি কেন্দ্রে কুরআন মজিদ ও আরবী বিষয়ের পরীক্ষায় মৌলভীদেরকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দিয়ে প্রশ্নপত্রের সমাধান করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ধানদি কেন্দ্রে পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্ব বন্টনের তালিকায় দেখা যায়,মঙ্গলবার আরবী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার ১ নং কক্ষে রামনগর-তাতেরকাঠি দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বড়ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী সোহরব হোসেনকে। ৪ নং কক্ষে সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মোঃ ওবায়দুল্লাহর সঙ্গে বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী শামিমা নাসরিনকে এবং ৫ নং কক্ষে বড় ডালিমা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি শিক্ষক মহসীন উদ্দিনের সঙ্গে ছয়হিস্যা বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সহকারি মৌলভী রাজিয়া বেগমকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে পরীক্ষা কেন্দ্রে সাধারণত প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তাকে ইউএনওর প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্র্তার অফিস সহকারি শাহাবু্িদ্দন মুন্সিকে ধানদি কামিল মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। কুরআন মজিদ ও আরবী বিষয়ের পরীক্ষায় মৌলভীদের কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব প্রদানের বিষয়টি অস্বীকার করে ওই মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকা সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোঃ মোশারেফ হোসেন বলেন,সাধারণ বিষয়ের শিক্ষকদেরকে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানতে বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ ব্যাপার পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মহসীন উদ্দিন বলেন,ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ