সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মৌলভীবাজার, সিলেট
মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন মিসকিলিং’র শিকার; চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৪৪:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৪৮ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবীর সদস্য এড. সুজন মিয়া হত্যাকাণ্ডের আজ ৩ দিন। এদিকে, সুজন মিয়া হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে, সকল আইনজীবী কোর্ট বর্জন করেছেন ২ দিন হলো। আইনজীবীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ও অনির্দিষ্টকালের কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্তের পর, আজ বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল মৌলভীবাজার পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করেন।
পুলিশ সুপার এম. কে. এইচ. জাহাঙ্গীর হোসেন, (পিপিএম-সেবা) সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি বলেন- ‘‘এখন পর্যন্ত আমরা ৫ জনকে আটক করেছি। যাদেরকে আটক করেছি তারা মৌলভীবাজারের। আমরা তাদের আগের রেকর্ড দেখেছি। এরা সবাই যুবক। আমরা যথেষ্ট ডিজিটাল এভিডেন্স সংগ্রহ করেছি। আমাদের কাছে অনেক কিছুই আছে, তদন্তের স্বার্থে সবার নাম এখনই বলতে পারব না। যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তার সঙ্গে কিলার গ্রুপের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এটাই হচ্ছে চিন্তার বিষয়। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ১০ জনের নাম আসছে। হয়তো সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে। কেউ হয়ত স্পট থেকে সহযোগিতা করেছে, আবার কেউ হয়ত বাইরে থেকেও করেছে। আমরা প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনব। এর থেকে রেহাই পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। যে যাই করুক না কেন, বর্তমান সময়ে ডিজিটাল এভিডেন্সের ওপর নির্ভর করেই আমাদের কার্যক্রম চালাচ্ছি। আমরা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করছি। এখন পর্যন্ত আমরা যা পেয়েছি, তা আপনাদের জানালাম। পরবর্তীতে আপডেট পেলে আপনাদেরকে জানানো হবে। আরও কিছু তথ্য আমাদের কাছে আছে। অভিযানে এখনও অব্যাহত আছে। আমি সময় সময়ে আপনাদেরকে জানাব।’’
তিনি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘‘আপনারা যে সহযোগিতা আমাদের করেছেন, তাতে আমাদের তদন্তে বড় একটা ভূমিকা রেখেছে। খুব শীঘ্রই প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে আপনাদের কাছে। এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, কীভাবে জড়িত, একেবারে সব কিছু আমরা মিলিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ।’’
তিনি বলেন, ‘‘অপরাধী, সে শুধু অপরাধী, তার কোনো পরিচয় নেই। সে যেই হোক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হত্যাকারীদের সুজন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল না। এই সুজন মিয়ার হত্যায় সম্পৃক্ত থাকার বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমাণাদীর উপর ভিত্তি করে আমরা যখন তদন্ত শুরু করি, তখন ঘটনাস্থলের মোবাইল লোকেশন এবং অন্যান্য তথ্যাদি বিশ্লেষণ করে আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাই যে, নজির মিয়া, ওরফে মুজিব নামে এক ব্যক্তি, তার প্রতিবেশী মিছবাহ উদ্দিনের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে সে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং একটা কিলার গ্রুপ ঠিক করেন। কিলার গ্রুপের মেকানিজমে ছিলেন রহিম নামের এক ব্যক্তি। রহিম, মেলার মাট থেকে মিছবাহ উদ্দিনকে কিলার গ্রুপকে দেখান। আসলে যাকে দেখানো হয়েছে, তিনি মিছবাহ ছিলেন না, তিনি ছিলেন অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া। চেহারায় মিল থাকায়, দুজনের শারীরিক গঠন ও বয়স একই থাকার কারণে ভিডিও কলের মাঝে কিছুটা অস্পষ্ট ছিল, সেটা আমাদেরকে বলেছে।’’
‘‘পরবর্তীতে তার গতিবিধি লক্ষ করে, তিনি যখন ফুচকার দোকানে আসেন, ফুচকার দোকানে বসে, তাদের কিলিং মিশন হিসেবে তারা যখন জানতে পারে এবং তারা শুধু মাত্র ভিডিও ফুটেজ দেখায়নি, রহিম মিয়া নিশ্চিত করেন যে, ইনিই হলেন আমাদের টার্গেট। এবং তারা তাকে একটা ছবিও পাঠিয়েছে। পরবর্তীতে কিলার গ্রুপ তাদের কার্যক্রম সম্পন্ন করে এবং এই পর্যন্ত যা তথ্য পেয়েছি, সেই তথ্যের ওপর নির্ভর করে অনেক তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছি।’’
‘‘ইনভেস্টিগেশনের সুবিধার্থে এখানে আরও যারা জড়িত আছেন এবং যা যা ব্যবহৃত হয়েছে, এগুলি আমরা উদ্ধার করে আপনাদের আপডেট জানাব। ইতিমধ্যে আমরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে আটক করেছি। তাদের যে লিংক আছে, এক জনের সঙ্গে আরেক জনের, যেমন মুজিব মিয়ার লিংক আছে লক্ষণের সঙ্গে, লক্ষণের সঙ্গে রহিমের, রহিমের সঙ্গে কিলার গ্রুপের। এক জন আরেক জনকে ঠিক করেছে।’’
উল্লেখ্য গত রবিবার (৬ই এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গণে ৪ থেকে ৫ জন দুর্বৃত্ত তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অ্যাডভোকেট সুজন মিয়া মৌলভীবাজার পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের মো. জহিরুল ইসলামের ছেলে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ