জাকির খানের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই,রোববার মুক্ত

- আপডেট সময়- ০৫:৩৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে

রোববার জাকির খানের মুক্তির গুঞ্জন পুরো শহরজুড়ে..!
অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় খালাস পাওয়ার পর জাকির খানের মুক্তির গুঞ্জন এখন পুরো শহরজুড়ে।
আগামী রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে কারামুক্ত হওয়ার কথা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। এ দিন বিজ্ঞ আদালতের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ায় তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাকির খানের বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলাসহ মোট ৩৩টি মামলার আসামি ছিলো। দীর্ঘদিন দেশে বিদেশে পলাতক থাকার পর ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে রাজধানী ঢাকাস্থ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে ধাপে একেকটি মামলায় জামিন পান তিনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর সাব্বির আলম হত্যা মামলার রায়ে তিনিসহ এ মামলার অন্যান্য আসামিরাও বেকসুর খালাস পান।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। এরপর জাকির খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাজিব মন্ডল জানান, জাকির খানের বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা ছিল। এর মধ্যে ৩০টি মামলাতেই তিনি খালাস পেয়েছেন। বাকি দুটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন। বিজ্ঞ আদালতের সকল কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছেছে, তাই এখন তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
আলোচিত এ মামলায় খালাস পাওয়া অন্যান্য আসামিরা হলেন জাকির খানের ২ ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান এছাড়াও তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, নাজির আহমেদ, আব্দুল আজিজ এবং মৃত মনিরুজ্জামান শাহীন।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে মাসদাইর এলাকায় নিজ বাসার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় বিকেএমইএ’র সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকারকে। নিহত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা (বহিষ্কৃত) ও বর্তমানে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমুর আলম খন্দকার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তৎকালীন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও জাকির খানসহ বেশ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করা হয়। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০৬ সালে জাকির খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে।
র্যাবের তথ্য সূত্র জানিয়েছে, নব্বইয়ের দশকে জাতীয় পার্টির ছাত্রসংগঠন থেকে রাজনীতিতে যাত্রা শুরু করেন জাকির খান। পরে তিনি বিএনপির ছাত্রসংগঠন ছাত্রদলের নেতৃত্বে আসেন। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ বহু অভিযোগ রয়েছে। একসময় শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত ছিলেন জাকির খান। সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার পর জাকির খান দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে যান। এরপর প্রায় দুই দশক দেশে না থেকে ২০২১ সালে ভারত হয়ে ফের দেশে এসে আত্মগোপনে থাকাকালীন র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ