সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, গণমাধ্যম, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টঙ্গী, ঢাকা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ
উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১১:৪৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

এস কে সানি ( উত্তরা)।।
রাজধানীর উত্তরা দক্ষিণ খান থানা এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্প থেকে চোরাই মালামালের অনুসন্ধান করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক মিজানুর রহমানসহ ৩ সাংবাদিক।
গুরুতর আহত অবস্থায় মিজানুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীরা চ্যানেল এস-এর অফিসিয়াল ক্যামেরা ও সাংবাদিকদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় দক্ষিণ খান থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ইতোমধ্যে হামলার সাথে জড়িত ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার বিষয়ে জানা যায়, চ্যানেল এস-এর প্রতিনিধি তরিক শিবলী ও দৈনিক ঢাকার কণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক রফিকুল হক সিকদার জাহাঙ্গীর , সাপ্তাহিক “অন্যায়ের প্রতিবাদ” পত্রিকার সহ-সম্পাদক মোঃমিজানুর রহমান, বাংলাদেশের আলো পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সিমা আক্তার এবং সাপ্তাহিক অন্যায়ের প্রতিবাদ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার মোস্তাফিজ সালাম সজীব, সাপ্তাহিক তদন্ত রিপোর্ট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাকিল আহমেদ দক্ষিণ খান থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে মেট্রোরেল চোরাচালানের তথ্যভিত্তিক অনুসন্ধানে নামেন।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, একটি সংঘবদ্ধ চোরাই চক্র মেট্রোরেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ যেমন – মোটর, পাইপ, কপার কেবল প্রভৃতি চুরি করে একটি বাসায় মজুদ করে বিক্রি করে আসছিল।
এই বিষয়ে অনুসন্ধানে গেলে গলির মুখে অপেক্ষমাণ সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় ঐ চোরাই চক্রের সদস্যরা।
সাংবাদিক মিজানুর রহমানের মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন এবং তাঁর মাথায় দুইটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
হামলার সময় সাংবাদিকদের ব্যবহৃত একটি অফিসিয়াল ক্যামেরা ভাংচুর করে মেমোরিকার্ড গায়েব করে এবং একাধিক মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ঐ চোরাই চক্রের সদস্যরা, যার ফলে অনুসন্ধানের ভিডিও ফুটেজ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে যায়।
খবর পেয়ে দক্ষিণ খান থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান চালায় এবং একজনকে গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৪৩/৩২৩/৩২৫/৪২৭/৩৭৯/৫০৬ ধারায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী চ্যানেল এস এর সাংবাদিক বলেন, আমরা থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করেই অনুসন্ধানে গিয়েছিলাম। আমাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় যেভাবে হামলার শিকার হতে হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।
এই ঘটনায় সাংবাদিক সমাজের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আহত সাংবাদিক মিজানুর রহমানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বর্তমানে তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ