না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন; সেবার মানোন্নয়নে ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন ডিসি

- আপডেট সময়- ১০:৩৫:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ৯৪ বার পড়া হয়েছে

সেবা প্রত্যাশী রোগীদের মানোন্নয়নের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা ও দালাল চক্রে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক…!
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
নগরীর সবচেয়ে বড় সেবা প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জের খানপুরে অবস্থিত ৩’শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে আধুনিকীকরন পরিচ্ছন্ন ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর এবং স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন নারায়ণগঞ্জ” এ কর্মসূচির আওতায় তিনি নগরীর বৃহত্তর এ হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক, স্বাস্থ্য) ডা. মো. আবুল বাসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, নির্বাহী প্রকৌশলী (গণপূর্ত) মো. হারুন অর রশিদ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগন।জেলা প্রশাসক(ডিসি) জানান, এ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের অধিকাংশ হুইলচেয়ার নষ্ট হয়ে গেছে এবং নতুন হুইলচেয়ারের চাহিদা রয়েছে। অসুস্থ রোগীদের সেবা প্রদানের সুবিধার্থে তিনি বিশেষ বিবেচনাপূর্ব তাৎক্ষণিকভাবে ৫টি হুইলচেয়ার প্রদান করেন।
তিনি বলেন, পঙ্গু অসুস্থ রোগীরা ভ্যান বা রিকশায় করে আসা গুরুতর রোগীরা যেন সহজে হাসপাতালে চলাচল করতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন” কর্মসূচির অংশ হিসেবে খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে চতুর্দিকে ১ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। পাশাপাশি হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থিত রাস্তা যেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়, সে রাস্তাটিকে দ্রুত পরিষ্কারের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানান তিনি।
রোগীদের সেবার মানোন্নয়ন নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, বিভিন্ন মিটিংয়ে অভিযোগের কথা শুনেছি। তাই সরাসরি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। রোগীরা জানিয়েছেন, তারা সেবা পাচ্ছেন এবং কোনো অসুবিধার মুখে পড়ছেন না। তবে ডাক্তারদের প্রতি অনুরোধ, তারা যেন এমনভাবে সেবা প্রদান করেন যাতে জনগণ সন্তুষ্ট থাকে এবং বলতে পারে’আমরা হাসপাতালে ভালো সেবা পেয়েছি।
হাসপাতালের অভ্যন্তরে মাদক ব্যবসা ও দালাল চক্রের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা ইতিমধ্যে একটি তালিকা চেয়েছি। আজ থেকেই সে অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে এবং এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. আবুল বাসার বলেন, ডিসি মহোদয় নতুন ও পুরাতন ভবন পরিদর্শন করেছেন। তাঁর দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সামনে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি মাদক, দালাল ও চোর চক্র নির্মূলে সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এসময় জেলা প্রশাসক(ডিসি) হাসপাতালের নতুন ভবন ঘুরে দেখে দ্রুত সেবাদান কার্যক্রম সেখানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। নার্সদের জন্য নির্মিত অসমাপ্ত ভবনে গড়ে ওঠা মাদকের আস্তানা দ্রুত উচ্ছেদের নির্দেশও প্রদান করেন তিনি। একই সঙ্গে ডাক্তার ও আনসার সদস্যদের জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে নতুন ভবন নির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।পরিদর্শনের শেষে জেলা প্রশাসক(ডিসি) হাসপাতালের পরিবেশ ও পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়ন বজায় রাখতে নিয়মিত তদারকি করার নির্দেশনা প্রদান করেন।