দ্রুততম সময়ে ভোজ্য তেলে স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করছি: ডিসি জাহিদুল

- আপডেট সময়- ০১:৫১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

ভোজ্য তেল সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত..!
বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জে ভোজ্য তেল (সয়াবিন) সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর ১২ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক(ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আলমগীর হোসেন এর সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক(ডিসি) বলেন, যেহেতু ভোজ্য তেল (সয়াবিন) এর বেশ বড় কয়েকটি কারখানা নারায়ণগঞ্জেই সেখানে এ জেলার বাসিন্দারা কেন ভোজ্য তেল সংকটে ভুগবে। তিনি কোম্পানির প্রতিনিধিগনদের কাছে জানতে চান “নারায়ণগঞ্জে কোন কোম্পানির কতজন ডিলার রয়েছে এবং তাদের প্রতি সপ্তাহে কত পরিমাণ তেল সরবরাহ করা হয়, সে তথ্য আমাদের কাছে পাঠাতে হবে। এর মাধ্যমে আমরা বাজারের সুষ্ঠ মনিটরিং করতে পারবো। ভোজ্য তেলের বাজারে গত রোজার মাসগুলোর তুলনায় এবার দাম কম থাকলেও সিন্ডিকেট করে কারসাজি চলছে, যা আমরা দ্রুততম সময়ে বন্ধ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, সিটি গ্রুপকে মেনশন করে বলেন “কোনো কোম্পানি যদি একক ডিলার নিয়োগ করে, তবে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই সেসকল কোম্পানিকে একাধিক ডিলার নিয়োগের অনুরোধ করেন তিনি। নারায়ণগঞ্জবাসীকে স্বস্তি দিতে এক সপ্তাহের মধ্যে তেলের বাজারে দ্রুত স্থিতিশীলতা আনার চেষ্টা করছি।
এ সময় বিভিন্ন ভোজ্য তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যেমন সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ এবং আবুল খায়ের গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নিতাইগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বাবু শংকর সাহা বলেন, নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বোতলজাত তেলের সরবরাহ নেই বললেই চলে। কারন নারায়ণগঞ্জ ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল এলাকা এখান ২,লিটার ৩ লিটার তেলের চাহিদা অনেক বেশি, এখানে সাধ থাকলেও অনেকের স্বাধ্য নাই! ভোজ্য তেল( সয়াবিন) কোম্পানিগুলো কাদের কাছে তেল দিচ্ছে তা অজানা। তাছাড়া ডিলাররা গোপনে অধিক লাভের আশায় তেল অন্য জেলায় বিক্রি করে দেয়।
তবে তেল কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, তাদের কাছে কাঁচামালের কোনো সংকট নেই এবং পর্যাপ্ত ভোজ্য তেল মজুদ রয়েছে। তারা দাবি করেন, যদি কোনো কারসাজি হয়ে থাকে, তারা সে বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন।
বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধি জানান, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তেলের উৎপাদন কিছুটা কমে গেছে, তবে উৎপাদিত তেল পুরোপুরি বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে। মেঘনা গ্রুপ এবং বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের প্রতিনিধিরাও জানিয়েছেন, তাদের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে, তবে তারা নারায়ণগঞ্জে ডিলার সংখ্যা এবং সরবরাহের প্রকৃত পরিমাণ জানাতে পারেননি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন, এনএসআই যুগ্ম-পরিচালক দাদন মুন্সি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি) তারেক আল মেহেদী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সোনারগাঁ-ফারজানা রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা( ইউএনও) রূপগঞ্জ, সাইফুল ইসলাম, জেলা ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বনিক, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ইবনুল ইসলাম প্রমুখ।