ভিডিও-ছবি ধারন করায় সাংবাদিকদের ওপর হামলা করলেন সাবেক এসপি

- আপডেট সময়- ১১:৫৪:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ২৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
নাটোরে নারী নির্যাতনের মামলায় বরখাস্তকৃত পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম ফজলুল হকের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রহিম এই আদেশ দেন।
এসময় আদালত থেকে তাকে কারাগারে নেওয়ার সময় সাংবাদিকরা ভিডিও ধারণ করতে গেলে আসামি এসএম ফজলুল হক হঠাৎ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, আদেশের পর হাজতে না রেখে কোর্ট পুলিশ আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুমে বসতে দেয়। এরপর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে তাকে কারাগারে নেওয়ার জন্য আসামিকে বের করা হয়।
এ সময় গণমাধ্যম কর্মীরা আসামির ছবি ও ভিডিও নিতে গেলে আসামি তাদের ওপর চড়াও হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার কারণে এখন টেলিভিশন, সময় টেলিভিশন ও এনটিভির ক্যামেরাপার্সনরা হাতে আঘাত পান। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনার পর পরই পুলিশ আসামিকে দ্রুত আদালতের হাজতে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার প্রতিবাদে নাটোরের সাংবাদিকরা আদালত চত্বরে অবস্থান নেন। তাদের দাবি ছিল অন্য আসামিদের মতো সাবেক এসপি ফজলুল হককেও হ্যান্ডকাফ পরিয়ে কারাগারে নিয়ে যেতে হবে। পরে বিকেল ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
‘এখন’ টেলিভিশনের ক্যামেরাপার্সন জাহিদুল ইসলাম জানান, “আসামিকে কোর্ট ইন্সপেক্টরের রুম থেকে নেওয়ার সময় আমরা ছবি ও ভিডিও নিচ্ছিলাম। এ সময় আসামি আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে এবং ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টাও করেন। ক্যামেরা রক্ষা করতে গিয়ে আমাদের হাতেও আঘাত লাগে বলে জানিয়েছেন তিনি।
যমুনা টেলিভিশনের নাটোর প্রতিনিধি ও নাটোর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, একজন আসামির দ্বারা কোর্ট চত্বরে গণমাধ্যমকর্মীদের হামলার শিকার হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত। এ ঘটনা তিনজন ক্যামেরাপার্সন আহত হয়েছেন। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। একজন আসামিকে যথাযথভাবে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নেওয়া হলে এই হামলার ঘটনা ঘটতো না।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ