সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ইসলাম ও জীবন, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, রাজনীতি
পটুয়াখালীতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৭৩ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনের মনোনয়পত্র কিনতে গেলে তাদের কাছে তা বিক্রি করেনি নির্বাচন কমিশন। এ সময় তাদের ওপর হামলা চালায় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার ৯টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের শেষ দিন ছিল। এদিন জামায়াত সমর্থিত জেলা ল ইয়ার্স কাউন্সিল ৯টি পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে গেলে ছয়টি পদে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে নির্বাচন কমিশন। বাকি তিনটি পদে (সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি ও সদস্য) মনোনয়ন চাইলে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলা করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আইনজীবীরা।
আহতরা হলেন— নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি ও জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন, পৌর জামায়াতের ৬ নাম্বার ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিন ও জামায়াত কর্মী গাজী মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির।
জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের অভিযোগ,নির্বাচন কমিশনে থাকা তিনজনই বিএনপিপন্থী আইনজীবী।
এ বিষয়ে জেলা ল ইয়ার্স কাউন্সিলের সদস্য ও জেলা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের ল ইয়ার্স কাউন্সিল সবকটি পদের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করতে গেলে তিনটি পদে মনোনয়ন বিক্রি করেনি নির্বাচন কমিশন। উল্টো আমাদের তিন আইনজীবীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ হামলার নেতৃত্ব দেয় বিএনপিপন্থী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শরিফ সালাহউদ্দিন, মিজান মাষ্টার, মাহবুবুর রহমান সুজন, আরিফুর রহমান, আরিফ হোসেন, নাজমুল আহসান হোসেন মুন্না ও তৌফিক হোসেন মুন্না।’
আহত পিপি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন বলেন,‘আমরা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্যানেল দিয়েছিলাম। তবে মনোনয়ন ফরম কিনতে গেলে বিএনপিপন্থী উগ্র আইনজীবীরা আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।’
অভিযোগের বিষয়ে শরীফ সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। আমরা কোনো হামলা করিনি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতি-২০২৫ নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট মো. মোহসীন উদ্দিন বলেন,‘জেলা জামায়াতের আমির নিজে উপস্থিত থেকে মনোনয়ন দাখিল করে গিয়েছেন। তাদের ওপর হামলার ঘটনায় আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। তিনটি পদে মনোনয়ন বিক্রি করেনি এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
পটুয়াখালী জেলা জামাতের আমির ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসান বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন তাই এজন্য একটু মারামারি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা তো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সাহসই পায় নাই। আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে মিটিংয়ে বসবো।’
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান টোটন বলেন, ‘জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জামাত ও অন্যান্য দলের সদস্যরা ফরম কিনতে গেলে তাদের বাঁধা দেয় একটি গ্রুপ। এ সময় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। একজন আইনজীবী হিসেবে আমি এই পরিস্থিতির কোনভাবেই সমর্থন করি না।’