ঢাকা ০২:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই.!  গাইবান্ধায় দুই শতাধিক শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে ডিসি-এসপি সিদ্ধিরগঞ্জে সাত কেজি গাঁজাসহ এক কারবারি গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক নিহত  মহেশখালীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ তিন সন্ত্রাসী আটক টেকনাফে গহীন পাহাড়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ট্রাক চালক নিহত এনসিপি নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনা, বয়কট সংবাদ সম্মেলন আজ বিজয়া দশমী, দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব উত্তাল সাগর, দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কক্সবাজারে ১৬ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ তিন তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা আটক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই আসামি র‍্যাবের জালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট ১৯ কি: মি: মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট না’গঞ্জে র‍্যাবের হাতে আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, র‍্যাব সদস্যসহ আহত-৪ শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা জানালেন পুলিশ প্রধান আমরা কোনো ধরণের দলীয় পদ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে ২৪ হাজার ইয়াবা ও সিএনজিসহ পাচারকারী আটক  আ’লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে আজ শারদীয় দুর্গাপুজার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান রাজধানীতে অনাবিল বাসে নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক উখিয়ায় সাংবাদিক তানভীর শাহরিয়ার গ্রেপ্তার, সংবাদকর্মীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে সবার ঐক্য চাই : কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার স্বাস্থ্যসেবায় অন্ধকার: ফুলছড়িতে সিজার বন্ধ, জনবল সংকট চরমে না’গঞ্জের আরএস কম্পোজিটে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্প পুলিশ প্রধান প্রতিহিংসা ও বিভক্তি বর্জন করে সুশৃঙ্খল রাজনীতি করতে মাসুদুজ্জামানের আহবান দুর্গোৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ: বন্দরে জেলা প্রশাসক শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ড আড়ং’র শপিং ব্যাগের মূল্য নেয়া বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ না’গঞ্জে ওভারপাস থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া ট্রাকের চাপায় রিকশা চালকের মৃত্যু আড়াইহাজারের সাবেক এমপি বাবুর অনুসারী ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত নরসিংদীতে হাসপাতালে ভাংচুর ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন থমথমে খাগড়াছড়ি: অনিদিৃষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা, ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠী সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে ২২৪টি পূজামণ্ডপে অনুদান: ডিসি  আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ বোধন’র মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা না’গঞ্জে কিশোরী অপহরণে মূল হোতা আট বছর পর পিবিআই’র জালে উৎসবমুখর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে: জেলা প্রশাসক উখিয়ার তুমব্রু সীমান্তে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারাদেশে র‍্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ২ প্লাটুন র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে: সিইও ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবো, বিভক্ত হবো না;  মাসুদুজ্জামান আড়াইহাজারের নান্দনিক ইকোপার্ক প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হবে শ্যালিকার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফতুল্লার পুজামন্ডপসহ প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শনে ইউএনও নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ টেকনাফে মানব পাচারকারী আটক, তিন ভুক্তভোগী উদ্ধার না’গঞ্জে এবারের দুর্গোৎসবে ৭০টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান দিবেন মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে ফের মাদকবিরোধী ব্লক রেইড, শীর্ষ কারবারি আলম চানসহ আটক-২৪ টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩৯ হাজার ২’শ ইয়াবা উদ্ধার গাইবান্ধায় সাঁওতাল শিশুদের স্কুল ও মাঠ দখলের চেষ্টা: তীব্র প্রতিবাদ গাইবান্ধায় স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে ধান ও মাছের চাষ ভাঙ্গায় ২ ইউনিয়নকে পূর্নবহালের দাবিতে মানববন্ধন, নিরীহ জনগণকে হয়রানি না করার আহ্বান শ্রীমঙ্গলে ৯দিন ব্যাপী নবদুর্গা পূজা শুরু কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে টাইগার সিমেন্ট কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শ্রীমঙ্গলে শেভরনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী আপেল গ্রেপ্তার  জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও তাসলিমা শিরিনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস না’গঞ্জে ডিপিডিসি ভবনে শ্রমিক ছব্দবেশে ডাকাতি ঘটনায় ৯ সদস র‍্যাবের জালে শ্রীমঙ্গলে ২৫ কেজি ওজনের ১৪ফুট অজগর সাপ উদ্ধার  গাইবান্ধায় একদিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃ*ত্যু রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার সংসদীয় আসন বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় শান্তিপূর্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে ডিপিডিসির নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা না’গঞ্জে মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদ কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন গাইবান্ধা কারাগারে আ’লীগ নেতার মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড টেকনাফে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারী আটক, উদ্ধার-৮৪ নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান না’গঞ্জে ইন্টার্নি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ: চিকিৎসক’কে মারধর কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান অসংগতি; জেলা প্রশাসক  আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ বিপুলসংখ্যক এনআইডি কার্ড উদ্ধার রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ মুকুট বিজয়ী কে এই তানজিয়া মিথিলা? গাইবান্ধায় দেশের সর্বোচ্চ ও বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি দূর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী অফিসারগন পরিদর্শনে থাকবেন পুলিশের ৯ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বদলি কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার প্রথম নারী ওসি হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন’র যোগদান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি এবার জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হলো চট্টগ্রামসহ ৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করেননি : দাবি স্টেট ডিফেন্সের জরাজীর্ণ সাঁকো, ২-যুগেও রাস্তা নির্মান হয়নি বৈদ্যের বাজার জেলে পল্লীতে লাগামহীন সবজির বাজার, বেশির ভাগ সবজিই ৮০ টাকার উপরে বিশ্বমানের ফুড রেস্টুরেন্ট ‘রেড চপস্টিক’-কে’স ক্যাফে এখন নারায়ণগঞ্জে ডিজিটাল সাংবাদিকতার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিল মিডিয়া ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গাইবান্ধায় ৫’শ ৮৭ মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা, সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন না’গঞ্জে উদ্ধারকৃত ২৩ একর জমিতে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক: ডিসি সোনারগাঁয়ে ১৫’শ ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মিয়ানমারগামী বোটে বিপুল খাদ্যপণ্য পাচারকালে আটক-১০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণ; একই পরিবারের দগ্ধ-৪ হতদরিদ্র মানুষের পাশে মানবতার ফেরিওয়ালা কাজী রুবায়েত হাসান।  বিএনপি নেতা এ্যাড. টিপুর পথশিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন নারায়ণগঞ্জে সৎ বাবা কর্তৃক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ: আটক-২ সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনায় ভাইয়ের ‘দাঁ’ এর কোপে ভাই খু*ন

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৮১ বার পড়া হয়েছে

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান