ঢাকা ০২:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
বেসরকারি চ্যানেল মাই টিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীনকে গ্রেপ্তার বিদেশে বাংলাদেশি কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ শ্রীমঙ্গলে চুরির ঘটনার ৬ ঘন্টার মধ্যে চোরসহ মালামাল উদ্ধার ঈশ্বরদীতে বেগম খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মদিন পালন মোরেলগঞ্জে ১’শ পিচ ইয়াবাসহ শরণখোলার যুবক আটক মৌলভীবাজারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার জন্মদিনে দোয়া মাহফিল পূর্ব সুন্দরবনে একমাসে ৭০ জেলে আটক, ফাঁদসহ ১৪৮টি ট্রলার জব্দ শাহিনূর আদর্শ স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও মেধা বৃত্তি সংবর্ধনা না’গঞ্জের বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সর্বাত্নক সহায়তায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিসি নান্দাইলে মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ডলফিন রক্ষায় সুন্দরবনের বনবিভাগের সচেতনতামূলক মাইকিং শরণখোলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গাইবান্ধা বন্যার দারপ্রান্তে: নদীগুলো উত্তালে জনজীবন বিপর্যস্ত পদ্মার পানি বৃদ্ধিতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রমের দিকে গাইবান্ধায় দোকানের বাকি টাকা চাওয়ায় গুলি, যুবক-গৃহবধূ আহত কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো আসামি র‍্যাব-৯’র জালে কুষ্টিয়ায় বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় দোকানির কান কামড়ে ছিঁড়ে দিল যুবক বড়লেখায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার-৯ কুষ্টিয়ায় ফের সাংবাদিককে হাতুড়ি-লোহার রড দিয়ে হামলা সিদ্ধিরগঞ্জে গলাকাটা নারীসহ অজ্ঞাত যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জের যানজট নিরসনে ডিসির পাশে চেম্বার ও বিকেএমইএ দিল্লির জঙ্গলে রাজপ্রাসাদ! আওয়াধ রাজ্যের শেষ রাজপুত্রের কাহিনি টেকনাফে ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ক্রিস্টাল মেথ জব্দ রাস্তা নয় যেন মরণফাঁদ, চরমদুর্ভোগে ৩ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুলাউড়ায় বিপুল পরিমাণে এসকপ কোডিনসহ আটক-১ নারায়ণগঞ্জ সদরে নতুন ইউএনও তাছলিমা শিরিনের যোগদান জায়গা জটিলতায় আটকে আছে সুন্দরগঞ্জের সড়ক উন্নয়ন, বিপাকে পৌরবাসী কমলগঞ্জে ভাইয়ের হাতে ভাই খুনের রহস্য উদ্ঘাটন,আলামত জব্দ  চাঁদপুরে অর্থ লেনদেনের বিরোধে চাচার হাতে ভাতিজা খুন, আটক-৩ না’গঞ্জে যুবদল নেতাসহ ১০জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের জন্য মহা-কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্তের পথে সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বন্দর উপজেলা প্রেসক্লাবের মানববন্ধন গাজীপুরে নৃশংসভাবে সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে এনইউজে’র মানববন্ধন সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের বিক্ষোভ  শ্রীমঙ্গলে দুই কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-১ সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যার প্রতিবাদে কক্সবাজারে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন বিপন্ন উপকূল; বাগেরহাটে চারটি আসন বহালের দাবিতে সিইসিকে স্মারকলিপি গাইবান্ধায় শিশুকে জিম্মি করে সুদের টাকা দাবি; গ্রেপ্তার-৪ সাংবাদিক তুহিনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানবন্ধন পেশাদার সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় ‘হলুদ সাংবাদিকতার’ দৌরাত্ম উপড়ে ফেলতে হবে আদিবাসীর অধিকার ছাড়া উন্নয়ন অসম্ভব: গাইবান্ধায় আদিবাসী দিবসে দাবি দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর না’গঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের এডহক কমিটির অনুমোদন গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় নারীসহ গ্রেপ্তার-৪ বড়লেখা সীমান্তে রোহিঙ্গাসহ আটক ৮ জনকে পুশইন শ্রীমঙ্গলে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে বিজয়ী সদর ইউপি টেকনাফে অবৈধ ট্রলিং বোটসহ ১৭ জেলে আটক  কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু গাজীপুরে ট্রাভেল ব্যাগ থেকে খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ জুড়ীর আলোচিত চেয়ারম্যান শেলু অবশেষে গ্রেপ্তার চাঁদপুরের ক্ষুদে মেসি সোহানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান গত দুইদিনে দেশে সাংবাদিকসহ অন্তত ৫ জনকে প্রকাশ্যে হত্যা শরণখোলায় নদীভাঙনে রিং বাঁধ ভেঙে শতশত বিঘা জমি ও বসতবাড়ি বিলীন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে নোয়াব’র গভীর উদ্বেগ বিকেলে চাঁদাবাজি নিয়ে লাইভ, রাতে সাংবাদিককে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যা অবৈধ বালু উত্তোলনে তিস্তা সেতু ঝুঁকিতে আজ দেশব্যাপী বিজয় র‍্যালি করবে বিএনপি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণবার্ষিকী আজ বৈরী আবহাওয়াও প্রকম্পিত সোনারগাঁয়ের বিএনপির এমপি প্রার্থী মান্নানের বিজয় র‍্যালী নারায়ণগঞ্জের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ম্যাকলিন ফের আইসিটি মামলায় গ্রেপ্তার ধর্মের আড়ালে ২২ কোটি টাকার চাল আত্মসাৎ, সাবেক এমপিসহ অভিযুক্ত-১৫ সুন্দরবনে কীটনাশক ও নৌকাসহ ৮ জেলে আটক না’গঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন এডহক কমিটির অনুমোদন ‘নতুন বাংলাদেশে’ র‍্যাব বিলুপ্তির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সুস্পষ্ট কাঠামো করবে এনসিপি কুলাউড়ায় অজ্ঞাত কিশোরের ম*র*দেহ উদ্ধার ২৪’র ‘গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণে বিএনপির বিজয় মিছিলে যোগ দিতে মাসুদুজ্জামানের আহ্বান পদোন্নতি পেয়ে এডিসি হলেন জাফর সাদিক, স্থলাভিষিক্ত ইউএনও তাছলিমা শিরিন শ্রীমঙ্গলে অবসরজনিত পুলিশ সদস্যকে রাজকীয় বিদায় ভেড়ামারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত রজনীর কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা নিবেদন প্রবীণদের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের উদ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিকল্পিত না’গঞ্জ গড়তে চান মাসুদুজ্জামান শ্রীমঙ্গলে অবৈধবালু কারবারি ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ বড়লেখায় ছিনতাইকৃত মালামালসহ আটক-২ চাঁদপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর গোপালগঞ্জের ঘটনা নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করলো সেনাসদর সিলেট রেঞ্জে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী মৌলভীবাজারের দুই কর্মকর্তা ফতুল্লায় সাংবাদিক সামাদ মতিনের সহধর্মিণী সুরাইয়া মতিনের দাফন সম্পন্ন গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত এবার ৩৭তম বিসিএস’র ১০২ এসি ল্যান্ডকে প্রত্যাহার কুষ্টিয়ায় গণঅভ্যুত্থানের পর জ্বলেনি শহরের ২৬৬ সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি খালেদা জিয়া-তারেক রহমানকে ঘেরাও করতে চাওয়া সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার নারায়ণগঞ্জে হকার্স মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে মাসুদুজ্জামান টেকনাফে র‍্যাব-১৫’র অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী ২১ মামলার আসামী শফি ডাকাত গ্রেপ্তার শরণখোলায় আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালিত  ভেড়ামারায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ টঙ্গীতে ৩৬ ঘণ্টা পর ম্যানহোলে নিখোঁজ নারীর মরদেহ উদ্ধার নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ৪জনের মৃত্যু: এক নাগরিক মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিনদিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে আড়াইহাজারে  ‘শিখা’ প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ আগুনে পুড়ল অন্তত ২০টি বসতঘর শ্রীমঙ্গলে নারকোটিসের অভিযানে ৮৬ বোতল বিদেশি মদ জব্দ কুষ্টিয়ায় নৈশপ্রহরীর হাত-পা বেঁধে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ আজ বিশ্ব বাঘ দিবস বাগেরহাটে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্র ও মাদকসহ আটক-৮ তিস্তা সেতু উদ্বোধনে চতুর্থ বিলম্ব: স্থানীয়দের ক্ষোভ  সিজুর মৃত্যু রহস্যে উত্তাল গাইবান্ধা: স্বজনদের দাবি, “পরিকল্পিত হত্যা”  নঈম নিজাম ও বোরহানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা গাজীপুরে শ্রমিকদের ১০ দফা দাবিতে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মহাসড়ক অবরোধ গুলশানে চাঁদাবাজির সময় বৈষম্যবিরোধীর যুগ্ম আহ্বায়কসহ গ্রেপ্তার-৫ তদন্তে কোনো নিরপরাধ যেনো শাস্তির আওতায় না আসে : না’গঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: একে একে ঝড়ে যাচ্ছে কোমলমতি প্রান, এবার চলে গেল জারিফ

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান