ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই.!  গাইবান্ধায় দুই শতাধিক শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে ডিসি-এসপি সিদ্ধিরগঞ্জে সাত কেজি গাঁজাসহ এক কারবারি গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক নিহত  মহেশখালীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ তিন সন্ত্রাসী আটক টেকনাফে গহীন পাহাড়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ট্রাক চালক নিহত এনসিপি নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনা, বয়কট সংবাদ সম্মেলন আজ বিজয়া দশমী, দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব উত্তাল সাগর, দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কক্সবাজারে ১৬ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ তিন তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা আটক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই আসামি র‍্যাবের জালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট ১৯ কি: মি: মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট না’গঞ্জে র‍্যাবের হাতে আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, র‍্যাব সদস্যসহ আহত-৪ শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা জানালেন পুলিশ প্রধান আমরা কোনো ধরণের দলীয় পদ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে ২৪ হাজার ইয়াবা ও সিএনজিসহ পাচারকারী আটক  আ’লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে আজ শারদীয় দুর্গাপুজার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান রাজধানীতে অনাবিল বাসে নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক উখিয়ায় সাংবাদিক তানভীর শাহরিয়ার গ্রেপ্তার, সংবাদকর্মীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে সবার ঐক্য চাই : কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার স্বাস্থ্যসেবায় অন্ধকার: ফুলছড়িতে সিজার বন্ধ, জনবল সংকট চরমে না’গঞ্জের আরএস কম্পোজিটে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্প পুলিশ প্রধান প্রতিহিংসা ও বিভক্তি বর্জন করে সুশৃঙ্খল রাজনীতি করতে মাসুদুজ্জামানের আহবান দুর্গোৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ: বন্দরে জেলা প্রশাসক শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ড আড়ং’র শপিং ব্যাগের মূল্য নেয়া বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ না’গঞ্জে ওভারপাস থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া ট্রাকের চাপায় রিকশা চালকের মৃত্যু আড়াইহাজারের সাবেক এমপি বাবুর অনুসারী ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত নরসিংদীতে হাসপাতালে ভাংচুর ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন থমথমে খাগড়াছড়ি: অনিদিৃষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা, ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠী সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে ২২৪টি পূজামণ্ডপে অনুদান: ডিসি  আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ বোধন’র মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা না’গঞ্জে কিশোরী অপহরণে মূল হোতা আট বছর পর পিবিআই’র জালে উৎসবমুখর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে: জেলা প্রশাসক উখিয়ার তুমব্রু সীমান্তে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারাদেশে র‍্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ২ প্লাটুন র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে: সিইও ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবো, বিভক্ত হবো না;  মাসুদুজ্জামান আড়াইহাজারের নান্দনিক ইকোপার্ক প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হবে শ্যালিকার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফতুল্লার পুজামন্ডপসহ প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শনে ইউএনও নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ টেকনাফে মানব পাচারকারী আটক, তিন ভুক্তভোগী উদ্ধার না’গঞ্জে এবারের দুর্গোৎসবে ৭০টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান দিবেন মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে ফের মাদকবিরোধী ব্লক রেইড, শীর্ষ কারবারি আলম চানসহ আটক-২৪ টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩৯ হাজার ২’শ ইয়াবা উদ্ধার গাইবান্ধায় সাঁওতাল শিশুদের স্কুল ও মাঠ দখলের চেষ্টা: তীব্র প্রতিবাদ গাইবান্ধায় স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে ধান ও মাছের চাষ ভাঙ্গায় ২ ইউনিয়নকে পূর্নবহালের দাবিতে মানববন্ধন, নিরীহ জনগণকে হয়রানি না করার আহ্বান শ্রীমঙ্গলে ৯দিন ব্যাপী নবদুর্গা পূজা শুরু কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে টাইগার সিমেন্ট কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শ্রীমঙ্গলে শেভরনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী আপেল গ্রেপ্তার  জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও তাসলিমা শিরিনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস না’গঞ্জে ডিপিডিসি ভবনে শ্রমিক ছব্দবেশে ডাকাতি ঘটনায় ৯ সদস র‍্যাবের জালে শ্রীমঙ্গলে ২৫ কেজি ওজনের ১৪ফুট অজগর সাপ উদ্ধার  গাইবান্ধায় একদিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃ*ত্যু রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার সংসদীয় আসন বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় শান্তিপূর্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে ডিপিডিসির নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা না’গঞ্জে মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদ কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন গাইবান্ধা কারাগারে আ’লীগ নেতার মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড টেকনাফে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারী আটক, উদ্ধার-৮৪ নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান না’গঞ্জে ইন্টার্নি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ: চিকিৎসক’কে মারধর কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান অসংগতি; জেলা প্রশাসক  আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ বিপুলসংখ্যক এনআইডি কার্ড উদ্ধার রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ মুকুট বিজয়ী কে এই তানজিয়া মিথিলা? গাইবান্ধায় দেশের সর্বোচ্চ ও বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি দূর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী অফিসারগন পরিদর্শনে থাকবেন পুলিশের ৯ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বদলি কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার প্রথম নারী ওসি হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন’র যোগদান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি এবার জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হলো চট্টগ্রামসহ ৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করেননি : দাবি স্টেট ডিফেন্সের জরাজীর্ণ সাঁকো, ২-যুগেও রাস্তা নির্মান হয়নি বৈদ্যের বাজার জেলে পল্লীতে লাগামহীন সবজির বাজার, বেশির ভাগ সবজিই ৮০ টাকার উপরে বিশ্বমানের ফুড রেস্টুরেন্ট ‘রেড চপস্টিক’-কে’স ক্যাফে এখন নারায়ণগঞ্জে ডিজিটাল সাংবাদিকতার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিল মিডিয়া ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গাইবান্ধায় ৫’শ ৮৭ মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা, সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন না’গঞ্জে উদ্ধারকৃত ২৩ একর জমিতে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক: ডিসি সোনারগাঁয়ে ১৫’শ ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মিয়ানমারগামী বোটে বিপুল খাদ্যপণ্য পাচারকালে আটক-১০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণ; একই পরিবারের দগ্ধ-৪ হতদরিদ্র মানুষের পাশে মানবতার ফেরিওয়ালা কাজী রুবায়েত হাসান।  বিএনপি নেতা এ্যাড. টিপুর পথশিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন নারায়ণগঞ্জে সৎ বাবা কর্তৃক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ: আটক-২ সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনায় ভাইয়ের ‘দাঁ’ এর কোপে ভাই খু*ন

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।