সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, কুষ্টিয়া, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, ভেড়ামারা
ভেড়ামারায় ফুলকপির বাম্পার ফলনেও মুখে নেই হাসি
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:৪৭:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫ ১০ বার পড়া হয়েছে
হৃদয় রায়হান,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি।।
শীত মৌসুমে নানা সবজির মধ্যে ফুলকপির চাহিদা সাধারণত বেশি থাকে।সেই ফুলকপি চাষ করে এখন বিপাকে ভেড়ামারার কৃষকরা। সবজিটির বাম্পার ফলনেও তাঁদের মুখে এক বিন্দু হাসি নেই। চোখের লোনা জলে ভেসে তাঁরা কপাল চাপড়িয়ে হা-হুতাশ করছেন। কারণ পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি সর্বনিম্ন ২ টাকা আর সর্বোচ্চ ৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা তাঁদের উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক কম।শুনিবার সকালে সবজির পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ভোর থেকেই কৃষকরা চাষ করা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে এসেই পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। প্রতি পিস ফুলকপির দাম পড়ছে সর্বনিম্ন ২/৩ টাকা। আবার অপেক্ষা করেও ক্রেতার দেখা মিলছে না। কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তাঁরা। সে বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক, আসলও উঠে আসছে না। সবজির দামে ভোক্তারা স্বস্তি পেলেও খরচের টাকা তুলতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন কৃষকরা। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতীয় এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে এমন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন তাঁরা। ফুলকপি বিক্রি করতে আসা কৃষক বশির বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখন ফুলকপি দু-তিন টাকা পিস দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। তা-ও ফুলকপি কেনার ক্রেতা নেই। এক বিঘা জমির ফুলকপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে আমরা কী করে চলব? ধার দেনা করে ফুলকপি চাষ করেছি, সেই টাকাই তো পরিশোধ করা সম্ভব হবে না।কালাম নামে আরেক ফুলকপি বিক্রেতা বলেন, এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। প্রতিটি ফুলকপিতে ছয় থেকে আট টাকা খরচ হয়েছে। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে এক-দু টাকা দরে। বিক্রি করে ভ্যান খরচের টাকাও উঠবে না। মনে হচ্ছে, এখনো জমিতে যে ফুলকপি আছে সেগুলো গরুকে দিয়ে খাওয়াই।’
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ