সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, বাউফল, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, রাজনীতি
বাউফলে ট্রাক ষ্ট্যান্ডের দখল নিতে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:২৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে

পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ট্রাক ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে ফের বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কালাইয়া ট্রাক ষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত মো. আবু তাহেরকে (২৭) বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত আবু তাহেরের ডান হাতের তিনটি আঙুলে কোপ রয়েছে। এর মধ্যে রিং আঙুলটি কেটে চামড়ার সঙ্গে ঝুলে আছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে ট্রাক ষ্ট্যান্ড দখল নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আফজাল হোসেন (৫০), উজ্জল হোসেন (৩৮) সহ দু’পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় শনিবার কালাইয়া ট্রাক ষ্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন ২১ জনের নাম উল্লেখ করে বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পটুয়াখালী জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন (ট্রাক,পিকআপ,লড়ি) ও পটুয়াখালী পায়রা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড থেকে ২০২৪ সালের ০১ ডিসেম্বর পরবর্তী তিন বছর মেয়াদে উপজেলার কালাইয়া ট্রাক ষ্ট্যান্ড এজেন্সি কার্যালয় দেয়া হয়। ২৬ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটির সভাপতি হলেন আশরাফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন।
দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরীর পক্ষের লোকজন ওই কার্যালয় ও ষ্ট্যান্ড একাধিকবার দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপি নেতা আলী আজমের লোকজন দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই কার্যালয় ও ষ্ট্যান্ড দখল করতে যায়। তখন আরিফ ও তার লোকজন বাঁধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।
রোববার সকালে বিএনপি নেতা আলী আজমের লোকজন ওই কার্যালয় ও ষ্ট্যান্ড দখল করে নেয়। দখল হটাতে যুবদল নেতা আরিফ রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দলবল নিয়ে ষ্ট্যান্ডের দিকে গেলে তাদের ওপর হামলা করে আলী আজমের লোকজন। তখন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আবু তাহের ও সোহরাব প্যাদাসহ দু’পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
ষ্ট্যান্ড পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘বিএনপি নেতা আলী আজমের পক্ষে কোনো কাগজপত্র নেই। তিনি গায়ের জোরে ষ্ট্যান্ড দখল করেন। তারা সেখানে গেলে আলী আজমের লোকজন হামলা চালিয়ে তাদের লোকজনদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আইনি সহায়তা চেয়েছি।’
অভিযোগ অস্বীকার করে দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আজম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার লোকজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। যিনি (আরিফ) অভিযোগ দিয়েছেন তিনি বিএনপির কেউ না। বিগত দিনে তিনি এক যুবলীগ নেতার দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। এখন বিএনপিতে সুকৌশলে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাকে ও বিএনপিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছেন।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। প্রথম ঘটনায় এক পক্ষের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।