ঢাকা ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না’গঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিতেই বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত-২ আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার নয়: মেঘনা আলম  এডিসির সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিশ্বপ্রেমিক ডিসি আশরাফের নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জোড়া খুন দুই মাসেও ডিবি প্রধানের শূন্য পদ পূর্ণ হয়নি কর্মস্থলে অনুপস্থিত শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের সমালোচিত ডিসি আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন খামেনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে পরিবেশ সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন: জনপ্রশাসন সচিব বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা: নিরাপদ আশ্রয় ফিশিং ট্রলার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল না’গঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক-ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ নারায়ণগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনের শিকার বাবা-মার হাতেই পুত্র খুন সেনা অভিযানে তিন সপ্তাহে ৫৬ অবৈধ অস্ত্রসহ ৯৯৬ অপরাধী গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারি পুলিশের জালে আদমজী বিহারি ক্যাম্পে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ ২ নারী আটক কুষ্টিয়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু

আদিবাসীদের বাঙালি বলাই যথার্থ, তাদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

 

ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশের সমাজে আদিবাসী জনগণের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। তারা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, তাদের অধিকার ও সংস্কৃতি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। আদিবাসীদের বাঙালি বলার অর্থ তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই প্রতিবেদনে আমরা আদিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতি, তাদের অধিকার এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির উপর আলোকপাত করব।
আদিবাসীদের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে, যেমন সাঁওতাল, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা ইত্যাদি। তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে যা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, উৎসব, সংগীত ও শিল্পকলা বাংলাদেশের সমাজে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
আদিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। তাদের ভূমি অধিকার প্রায়ই লঙ্ঘিত হয় এবং উন্নয়ন প্রকল্পের নামে তাদের আবাসস্থল থেকে উচ্ছেদ করা হয়। অনেক সময় তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে।
অধিকার ও আইনগত স্বীকৃতি:
বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না। তাদের ভূমি, সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যেমন ইউনাইটেড নেশনস ডেক্লারেশন অন দ্য রাইটস অব ইন্ডিজেনাস পিপলস (UNDRIP) অনুযায়ী আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
আইনি স্বীকৃতি: আদিবাসীদের ভূমি ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে আইনি স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। নতুন আইন প্রণয়ন করে তাদের ভূমির সীমানা নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আদিবাসী জনগণের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং তা কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করা।
অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: আদিবাসী জনগণের অভিযোগ শোনার জন্য একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে তারা তাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ সমাধান পায়।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: আদিবাসী জনগণের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করা উচিত যাতে তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
বাজারে প্রবেশের সুযোগ: আদিবাসী পণ্য ও উদ্যোক্তা শিল্পের জন্য বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা, যাতে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারে এবং অর্থনৈতিক ভাবে নিজেরা উন্নতি লাভ করতে পারে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প চালু করতে হবে। তাদের ভাষায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হলে তারা আরও বেশি সুবিধা পাবে।
সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ: আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন এবং উৎসবগুলোর আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সমর্থন করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: আদিবাসীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় নির্বাচনে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসী জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে তারা নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।
জাতিগত সংহতি: আদিবাসীরা নিজেদের মধ্যে একটি শক্তিশালী জাতিগত সংহতি অনুভব করে। তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ এবং নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সচেষ্ট। তাই তাদের জাতির সংযোগ ব্যবস্থার তৈরি করা।

সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আদিবাসীদের বাঙালি হিসেবে দেখতে চায়। তাদের ধারণা আদিবাসীরা যদি নিজেদের আলাদা কোন জাতি না ভেবে বাঙালি বলে পরিচিত হয় তাহলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে আরো সহজ হয়। এতে করে বাঙালি জাতি তত্ত্বে তাদের পরিচয়ে জাতি আরো সমৃদ্ধশালী হয়। আদিবাসীদের বাঙালি বলে পরিচিত হওয়া নিয়ে আলোচনা একটি জটিল বিষয়। এখানে কিছু দিক তুলে ধরা হলো:
একতা ও বৈচিত্র্য: বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে। আদিবাসীদেরকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দেখা হলে দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে। এতে করে তারা খুব সহজে সবার সাথে মিশতে পারবে।
জাতীয় পরিচয়: আদিবাসীরা যদি নিজেদের বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে এটি একটি বৃহত্তর জাতীয় পরিচয়ের অংশ হতে পারে। এটি সামাজিক সংহতি এবং জাতীয় ঐক্য বাড়াতে সাহায্য করবে।
অধিকার ও মর্যাদা: আদিবাসীদের মধ্যে অনেকেই তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি তারা নিজেদের বাঙালি বলে পরিচিত হতে পারে, তবে এটি তাদের অধিকারের স্বীকৃতি এবং সম্মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়: আদিবাসীদের বাঙালি হিসেবে গ্রহণ করলে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে। এটি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়ক হবে। যা দেশ ও জাতির মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধ তৈরিতে সহযোগিতা করবে।
সমস্যা সমাধান: আদিবাসীদের সমাজের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ভূমি অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি সমাধানে সাহায্য করার জন্য একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার ফলে তাদের সাথে সকল ধরনের সহযোগিতার পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি হবে।
তবে, এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচয়কে সম্মান করা আবশ্যক। তাদের মতামত এবং চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যাতে তারা নিজেদের পরিচয়ে খুশি ও গর্বিত অনুভব করতে পারে।
আদিবাসীদের বাঙালি বলার অর্থ তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করা এবং তাদের অধিকারের প্রতি সচেতন হওয়া। রাষ্ট্রের উচিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে আদিবাসী জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে। বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে আদিবাসীদের অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জীবনের মান উন্নয়নে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই আমরা একটি সত্যিকারের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সমাজ গড়ে তুলতে পারব যখনই আদিবাসীদের যথাযথ সহযোগিতার মাধ্যমে বাঙালি পরিচয়ে এক করে নিতে পারব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

আদিবাসীদের বাঙালি বলাই যথার্থ, তাদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ

আপডেট সময়- ০৬:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

 

ফেরদৌস আলম।।

বাংলাদেশের সমাজে আদিবাসী জনগণের একটি বিশেষ স্থান রয়েছে। তারা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তবে, তাদের অধিকার ও সংস্কৃতি প্রায়শই উপেক্ষিত হয়। আদিবাসীদের বাঙালি বলার অর্থ তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করা এবং তাদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। এই প্রতিবেদনে আমরা আদিবাসীদের বর্তমান পরিস্থিতি, তাদের অধিকার এবং রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলির উপর আলোকপাত করব।
আদিবাসীদের পরিচয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব:
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী বসবাস করে, যেমন সাঁওতাল, চাকমা, মুরং, ত্রিপুরা ইত্যাদি। তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে যা দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে। আদিবাসীদের জীবনযাত্রা, উৎসব, সংগীত ও শিল্পকলা বাংলাদেশের সমাজে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
বর্তমান পরিস্থিতি:
আদিবাসীরা দীর্ঘকাল ধরে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্যের শিকার। তাদের ভূমি অধিকার প্রায়ই লঙ্ঘিত হয় এবং উন্নয়ন প্রকল্পের নামে তাদের আবাসস্থল থেকে উচ্ছেদ করা হয়। অনেক সময় তারা শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকে।
অধিকার ও আইনগত স্বীকৃতি:
বাংলাদেশের সংবিধানে আদিবাসীদের অধিকার স্বীকৃত হলেও বাস্তবে তা কার্যকর হচ্ছে না। তাদের ভূমি, সংস্কৃতি এবং ভাষার প্রতি রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি যেমন ইউনাইটেড নেশনস ডেক্লারেশন অন দ্য রাইটস অব ইন্ডিজেনাস পিপলস (UNDRIP) অনুযায়ী আদিবাসীদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ:
আইনি স্বীকৃতি: আদিবাসীদের ভূমি ও সাংস্কৃতিক অধিকারকে আইনি স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। নতুন আইন প্রণয়ন করে তাদের ভূমির সীমানা নির্ধারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। আদিবাসী জনগণের বিরুদ্ধে বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করা এবং তা কার্যকর ভাবে বাস্তবায়ন করা।
অভিযোগ ব্যবস্থাপনা: আদিবাসী জনগণের অভিযোগ শোনার জন্য একটি নিরপেক্ষ ব্যবস্থা তৈরি করা, যাতে তারা তাদের সমস্যাগুলি তুলে ধরতে পারে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ সমাধান পায়।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: আদিবাসী জনগণের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করা উচিত যাতে তারা নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। তাদের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ সুবিধা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা জরুরি।
বাজারে প্রবেশের সুযোগ: আদিবাসী পণ্য ও উদ্যোক্তা শিল্পের জন্য বাজারে প্রবেশের সুযোগ তৈরি করা, যাতে তারা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে পারে এবং অর্থনৈতিক ভাবে নিজেরা উন্নতি লাভ করতে পারে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা: আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য বিশেষ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প চালু করতে হবে। তাদের ভাষায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হলে তারা আরও বেশি সুবিধা পাবে।
সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ: আদিবাসী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে উদ্যোগ নিতে হবে। সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন এবং উৎসবগুলোর আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সমর্থন করতে হবে।
রাজনৈতিক অংশগ্রহণ: আদিবাসীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় নির্বাচনে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আদিবাসী জনগণকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে তারা নিজেদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা নিতে পারে।
জাতিগত সংহতি: আদিবাসীরা নিজেদের মধ্যে একটি শক্তিশালী জাতিগত সংহতি অনুভব করে। তারা নিজেদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ এবং নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য সচেষ্ট। তাই তাদের জাতির সংযোগ ব্যবস্থার তৈরি করা।

সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে দেশের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ আদিবাসীদের বাঙালি হিসেবে দেখতে চায়। তাদের ধারণা আদিবাসীরা যদি নিজেদের আলাদা কোন জাতি না ভেবে বাঙালি বলে পরিচিত হয় তাহলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে আরো সহজ হয়। এতে করে বাঙালি জাতি তত্ত্বে তাদের পরিচয়ে জাতি আরো সমৃদ্ধশালী হয়। আদিবাসীদের বাঙালি বলে পরিচিত হওয়া নিয়ে আলোচনা একটি জটিল বিষয়। এখানে কিছু দিক তুলে ধরা হলো:
একতা ও বৈচিত্র্য: বাংলাদেশে বাঙালি সংস্কৃতি একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য, যেখানে বিভিন্ন জাতি ও সম্প্রদায়ের অবদান রয়েছে। আদিবাসীদেরকে বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে দেখা হলে দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে আরও সমৃদ্ধ করা হবে। এতে করে তারা খুব সহজে সবার সাথে মিশতে পারবে।
জাতীয় পরিচয়: আদিবাসীরা যদি নিজেদের বাঙালি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে, তাহলে এটি একটি বৃহত্তর জাতীয় পরিচয়ের অংশ হতে পারে। এটি সামাজিক সংহতি এবং জাতীয় ঐক্য বাড়াতে সাহায্য করবে।
অধিকার ও মর্যাদা: আদিবাসীদের মধ্যে অনেকেই তাদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে উদ্বিগ্ন। যদি তারা নিজেদের বাঙালি বলে পরিচিত হতে পারে, তবে এটি তাদের অধিকারের স্বীকৃতি এবং সম্মান বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়: আদিবাসীদের বাঙালি হিসেবে গ্রহণ করলে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়বে। এটি সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত করতে সহায়ক হবে। যা দেশ ও জাতির মধ্যে একটি শক্তিশালী বন্ধ তৈরিতে সহযোগিতা করবে।
সমস্যা সমাধান: আদিবাসীদের সমাজের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ভূমি অধিকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি সমাধানে সাহায্য করার জন্য একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা সম্ভব হবে। যার ফলে তাদের সাথে সকল ধরনের সহযোগিতার পারস্পারিক সম্পর্ক তৈরি হবে।
তবে, এই বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও পরিচয়কে সম্মান করা আবশ্যক। তাদের মতামত এবং চাহিদাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, যাতে তারা নিজেদের পরিচয়ে খুশি ও গর্বিত অনুভব করতে পারে।
আদিবাসীদের বাঙালি বলার অর্থ তাদের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সম্মান করা এবং তাদের অধিকারের প্রতি সচেতন হওয়া। রাষ্ট্রের উচিত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাতে আদিবাসী জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা উপভোগ করতে পারে। বাংলাদেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে আদিবাসীদের অবদানকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের জীবনের মান উন্নয়নে আমাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। শুধুমাত্র তখনই আমরা একটি সত্যিকারের সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময় সমাজ গড়ে তুলতে পারব যখনই আদিবাসীদের যথাযথ সহযোগিতার মাধ্যমে বাঙালি পরিচয়ে এক করে নিতে পারব।