সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, ক্যাম্পাস নিউজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, শিক্ষাঙ্গন
বাউফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে প্রধান শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫ ৪৪ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী প্রতিনিধি।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বাজেমহল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করতে প্রধান শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষিকার নাম মোসা. পারভীন বেগম (৫৪)।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের তিন সহকারী শিক্ষক সহ চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা।
ওই শিক্ষিকা বর্তমানে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এর আগে গত ১৯ আগস্টেও তাকে মারধর করা হয়েছিল।
থানায় অভিযোগ, ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা এবং বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শিব সংকর দাস ও মুশফিকা জাহান নুপুর সহ একটি চক্র পারভীন বেগমকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। পদত্যাগ না করায় তারা প্রধান শিক্ষিকার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ১৯ আগস্ট শিব সংকর, মুশফিকা জাহান সহ অজ্ঞাত ১৫/২০ জন দুষ্কৃতিকারী প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে ঢুকে তাকে পদত্যাগ করতে বলপ্রয়োগ করে। পদত্যাগ করতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়। পরে তারা একাধিক সাদাকাগজে স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনার পর থেকে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে যেতে ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিতে বাধা দেয় সহকারী শিক্ষক শিব সংসর ও মুশফিকা জাহান।
(৩১ শে ডিসেম্বর) প্রধান শিক্ষিকা পারভীন বেগম বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক শিব সংকর, মুশফিকা জাহান, ফিরোজ আলম ও নৈশ প্রহরী শাহজাহান তাকে (প্রধান শিক্ষিকা) এলোপাতাড়িভাবে মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে তার স্বামী ও মেয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষিকা পারভীন বেগম বলেন, আমি সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য অনেক কাজ করেছি। কখনো কোনো দুর্নীতি অনিয়ম করিনি। দেশের পটপরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে কয়েকজন সহকারী শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। আমাকে পদত্যাগ করতে চাপ সৃষ্টি করে। পদত্যাগ না করায় তারা আমাকে একাধিকবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক শিব সংকর বলেন, সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা তাকে মারধর করিনি। তিনি (প্রধান শিক্ষক) হয়রানি করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। একই কথা জানান আরেক অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মুশফিকা জাহান নুপুর।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ