সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পটুয়াখালী, বরিশাল, বাংলাদেশ, রাজনীতি
বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং চরমে
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫ ১৪ বার পড়া হয়েছে
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা ছাত্রদলে গ্রুপিং-কোন্দল চরম আকার ধারণ করেছে। ইতিমধ্যে ছাত্রদলের ভেতর একাধিক সংঘর্ষ ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ত্রি-ধারায় বিভক্ত হয়ে সাংগঠনিক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে উপজেলা ছাত্রদল। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সমন্বয় না হলে ছাত্রদলের মধ্যে বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশংকা করছেন সাবেক ছাত্রনেতারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অনেক বছর ধরে বাউফল উপজেলা বিএনপিতে বিরোধ চলছে। ত্রি-ধারায় বিভক্ত বাউফল বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার ও শিল্পপতি ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদ তালুকদার। স্থানীয় রাজনীতিতে শক্তিশালী এই তিন নেতা আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে পৃথক ভাবে সংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তিন নেতার সমন্বয়হীনতার কারণে তৃণমূল বিএনপির নেতারাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আর এরই প্রভাব পড়েছে ছাত্রদলের উপর। বর্তমানে উপজেলা ছাত্রদলের মধ্যে অনৈক্যের কারণে ঘটছে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা। চর দখল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে ছাত্রদল। ছাত্রদলের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন বিএনপির নেতারা।
গত ২৮ ডিসেম্বর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫০/৬০ জন কালাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসীম আহমেদ তুহিনের উপর হামলা চালায়। একই দিন চর ফেডারেশন এলাকায় জমির দখল নিয়ে চার নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম করে ছাত্রদলের কর্মীরা।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর বাউফল সরকারি কলেজের সামনে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমানের উপর হামলা চালায় পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব সাদিকুজ্জামান রাকিবের নেতৃত্বে ১০/১৫ জন। দুটি ঘটনায় সংগঠন বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে ছাত্রদল নেতা মুজাহিদুল ইসলাম ও সাদিকুজ্জামান রাকিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদল।
এছাড়াও, কালিশুরী ইউনিয়নের পোনাহুড়া এলাকায় ছাত্রদল নেতা হাইউল ফকিরের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইলিয়াস মোল্লা। তিনটি গ্রুপের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে ছাত্রদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে ছাত্রদলের মধ্যে গ্রুপিং নিয়ে উত্তেজনা বাড়ায় সংঘর্ষের আশংকা করা হচ্ছে। কালাইয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম টহল দিচ্ছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাউফল উপজেলার বিভক্ত বিএনপি নেতারা এখন ছাত্রদলকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। ছাত্রদল দিয়ে নিজেদের ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করছেন। ছাত্রদলের ইমেজ নিয়ে খেলা করছেন। ছাত্রদলকে দাবার গুটি বানিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার পাঁয়তারা করছেন। আর তাই গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে ছাত্রদল এখন নেতাদের চামচামি শুরু করেছে। ছাত্রদল এখন নেতার নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য লাঠিসোটা নিয়ে রাস্তায় মহড়া দিচ্ছে। মারামারি আর চর দখল করছে। নিজ হাতে বিএনপি নেতাদের লাঞ্চিত করছে।
উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম ঝুরান বলেন, ‘উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে সংকট থাকায় ছাত্রদলে বিভক্তি তৈরি হয়েছে। আর বিএনপিতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হলেই ছাত্রদলে বিভক্তি কেটে যাবে।’
অবিলম্বে ছাত্রদলের বিভক্তি নিরসনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জেলা ও বিভাগীয় নেতৃবৃৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি বলেন, ‘অন্যথায় সংঘর্ষ বা হতাহতের ঘটনা দেখতে হবে আরও আমাদের।’
অবশ্য এ বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো নেতৃত্ব সংকট নেই। আগামী সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঘিরে ছাত্রদলের মধ্যে গ্রুপিং তৈরি হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত হলে আর এই কোন্দল বা গ্রুপিং থাকবে না বলে আমার বিশ্বাস।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ